প্রথমে বিষয়টিকে মজা হিসেবে ধরে নিলেও বার বার ফোন আসায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়। রাতে নবীনের বাড়িতে পুলিশ পৌঁছলে তাঁকে মত্ত অবস্থায় দেখে তখনকার মতো তাঁরা ফিরে যান।
নবীন ছবি সংগৃহীত।
শখ ছিল পাঁঠার মাংস খাওয়ার। কিন্তু স্ত্রী রেঁধে না দেওয়ায় প্রচণ্ড রেগে যান তিনি। মত্ত অবস্থায় তিনি ধরে নিয়েছিল, তাঁর প্রতি অন্যায় হয়েছে। তাই সুবিচার চেয়ে স্ত্রীর নামে পুলিশে অভিযোগ জানালেন তেলঙ্গানার নবীন।
গত শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে তেলঙ্গানার চেরলা গোয়ারাম গ্রামে। ওই দিন রাতে মত্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরে স্ত্রীকে পাঁঠার মাংস রান্না করার নির্দেশ দেন নবীন। মত্ত অবস্থায় ঘরে ফেরায় রান্না করতে অস্বীকার করেন তাঁর স্ত্রী। তার পরই নবীন পুলিশকে ফোন করেন। ১০০ নম্বরে প্রায় ছ’বার করেন স্ত্রীর নামে অভিযোগ জানাতে।
প্রথমে বিষয়টিকে মজা হিসেবে ধরে নিলেও বার বার ফোন আসায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়। রাতে নবীনের বাড়িতে পুলিশ পৌঁছলে তাঁকে মত্ত অবস্থায় দেখে তখনকার মতো তাঁরা ফিরে যান। পরে শনিবার সকালে তাঁর বাড়ি থেকে নবীনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে জনসাধারণকে বিরক্ত করা এবং উপদ্রব করার জন্য মামলা করা হয়। পুলিশ পরে তাঁকে সতর্ক করে ছেড়েও দেয়।
পাঁঠার মাংস খেতে ভালোবাসেন না এ রকম লোক খুব কমই পাওয়া যাবে। বিভিন্ন রাজ্যে বিভিন্ন ভাবে তৈরি করা হয় এই পদ। কিন্তু পাঁঠার মাংসের প্রতি ভালবাসা যে এ রকম ঝামেলায় ফেলবে, তা হয়তো বুঝে উঠতে পারেননি নবীন।