দিল্লি বিমানবন্দরে ফোন করেন ওই ব্যক্তি। —ফাইল চিত্র।
স্ত্রী ফিদায়েঁ জঙ্গি। নাশকতার পরিকল্পনা নিয়ে বিমানবন্দরে ঢুকেছে। দিল্লি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে ফোন করে এমনই সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। কিন্তু তদন্তে নেমে চোখ কপালে ওঠার জোগাড় হল তদন্তকারীদের।
গত ৮ অগস্টের ঘটনা। দিল্লি বিমানবন্দরে ফোন করেন নাসিরুদ্দিন নামের ওই যুবক। তিনি জানান, তাঁর স্ত্রী রাফিয়া এক জন ফিদায়েঁ জঙ্গি। নাশকতার পরিকল্পনা নিয়ে বিমানবন্দরে ঢুকেছে। সৌদি আরব বা দুবাইগামী কোনও বিমানে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটানোই তাঁর লক্ষ্য।নাসিরুদ্দিনের ফোনে নড়েচড়ে বসেন বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষ। তড়িঘড়ি আন্তর্জাতিক বিমানের ওঠানামা সাময়িক বন্ধ রাখা হয়। তল্লাশি শুরু হয় সর্বত্র। তবে কোথাও কিছু না মেলায়, ফের চালু করে দেওয়া হয় উড়ান পরিষেবা। তার পর ফোনে হুমকির বিষয়টি নিয়ে মামলা দায়ের হয় দিল্লি-গুরুগ্রাম সীমান্তের উদ্যোগবিহার থানায়।
দিল্লি পুলিশের বিশেষ শাখা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে। তাতেই নাগাল মেলে নাসিরুদ্দিনের। দিল্লির বাওয়ানা থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে। জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হতে ভুয়ো হুমকি দেওয়ার কথা মেনে নেয় সে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চেন্নাইয়ে একটি ব্যাগ তৈরির কারখানা রয়েছে নাসিরুদ্দিনের। ওই কারখানাতেই কাজ করতেন রাফিয়ানামে এক তরুণী। সেখানেই আলাপ ও ঘনিষ্ঠতা দু’জনের। পরে তাঁরা বিয়ে করেন। কিন্তু সম্প্রতি উপসাগরীয় অঞ্চলে কাজের সুযোগ পান রাফিয়া। স্ত্রী দেশের বাইরে যাক, তাতে ঘোর আপত্তি ছিল নাসিরুদ্দিনের। কিন্তু নিজের সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন রাফিয়া। নির্দিষ্ট দিনে বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা দেন। স্ত্রীর যাত্রাভঙ্গ করতে শেষমেশ বিমানবন্দরে ফোন করে বসেন নাসিরুদ্দিন। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: মধ্যরাতের কলকাতায় বেপরোয়া জাগুয়ার, মার্সিডিজকে ধাক্কা মেরে পিষে মারল ২ জনকে
আরও পড়ুন: ‘দু’পক্ষ বসেই কাশ্মীর সমস্যা মেটান’, ইমরানকে ফোনে বললেন ট্রাম্প