—প্রতীকী চিত্র।
৩০ বছর আগের কথা। অগস্টের এক সকালবেলা বাড়িতে মাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেছিল সাত বছরের মেয়ে। আট মাসের অন্তঃসত্ত্বাকে খুনের অভিযোগ ওঠে দেবরের বিরুদ্ধে। এখন অভিযুক্তের বয়স ৭০ বছর। অবশেষে খুনের মামলায় তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল আদালত। উত্তরপ্রদেশের ফিরোজ়াবাদের ঘটনা।
দোষী সাব্যস্ত হওয়া বৃদ্ধের নাম চন্দ্র প্রকাশ। শুক্রবার ফিরোজ়াবাদের একটি নিম্ন আদালত অভিযুক্ত চন্দ্রকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। শুধু যাবজ্জীবন কারাদণ্ডই নয়, অন্তঃসত্ত্বাকে খুনের দায়ে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে তাঁকে। তার মধ্যে এক লক্ষ টাকা দিতে হবে মৃতার মেয়েকে।
ঘটনাটি ১৯৯৪ সালের ৬ অগস্ট। সূর্যমুখী নামে ফিরোজ়াবাদের এক বাসিন্দা খুন হন। তাঁর মেয়ে সকালবেলা মাকে খাটিয়ার উপর মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। সাত বছরের মেয়ের কান্নাকাটিতে দৌড়ে আসেন প্রতিবেশীরা। অভিযোগ, ১,৭০০ টাকার জন্য ভ্রাতৃবধূকে খুন করে পালিয়ে যান চন্দ্র। অভিযোগ ওঠে, ওই টাকার চাল লুট করে নিয়ে যান তিনি।
মৃতার ভাইয়ের দায়ের করা অভিযোগের প্রেক্ষিতে চন্দ্রের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে পুলিশ। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ (খুন) এবং ৩৯৪ ধারায় (লুটপাট) মামলা রুজু হয় তাঁর বিরুদ্ধে। ঘটনার তদন্তের পর চন্দ্র প্রকাশের সঙ্গে মোহর সিংহ নামে তাঁর এক সঙ্গীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মামলা ওঠে আদালতে। প্রথমে উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে জেল থেকে ছাড়াও পেয়েও যান মোহর। তবে জেলে থাকতে হয় চন্দ্রকে। অবশেষে ৩০ বছর তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল আদালত।