অভিযুক্ত যুবক অনুপম। ছবি: সংগৃহীত।
দ্বাদশের বোর্ড পরীক্ষায় বোনকে নকলে সাহায্য করতে পুলিশের ছদ্মবেশে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছন এক যুবক। কিন্তু একটি ছোট্ট ভুলের কারণেই হাজতবাস করতে হল তাঁকে। মহারাষ্ট্রের অকোলা জেলার ঘটনা।
অভিযুক্ত যুবকের নাম অনুপম মদন খান্ডারে। পাতুর শহরের একটি স্কুলে পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলেন অনুপমের বোন। পুলিশের একটি উর্দি আগে থেকেই কিনে রেখেছিলেন অনুপম। সেই উর্দি পরেই ওই পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি। পরীক্ষাকেন্দ্রের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীদের সঙ্গে কাজে লেগে পড়েন। ফলে কেউই তাঁকে সন্দেহ করেননি।
পুলিশ সূত্রে খবর, অনুপমের উদ্দেশ্য ছিল, পুলিশের ছদ্মবেশে বোনকে নকল করতে সাহায্য করবেন। কিন্তু তার আগেই সেই পরিকল্পনা মাটি হয়ে যায় একটি মাত্র ভুলের কারণে। ওই পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শনে আসেন উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক। নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঠিক আছে কি না তা খতিয়ে দেখার জন্য পাতুরের পরীক্ষাকেন্দ্রে এসেছিলেন ইনস্পেক্টর কিশোর শেল্কে।
পদস্থ আধিকারিককে দেখামাত্রই পরীক্ষাকেন্দ্রের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীরা স্যালুট ঠোকেন। অনুপমও স্যালুট জানান। কিন্তু তাঁর স্যালুটের নমুনা দেখেই সন্দেহ হয় ইনস্পেক্টরের। তার পরই ইনস্পেক্টরের নজর যায় অনুপমের উর্দিতে লাগানো নামের দিকে। সেই ‘নেমপ্লেট’ যে দিকে লাগানো থাকে পুলিশকর্মীদের উর্দিতে, এ ক্ষেত্রে তার ঠিক উল্টোটাই করেছিলেন অনুপম। ফলে সন্দেহ আরও দৃঢ় হতেই অনুপমকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন ইনস্পেক্টর। সেই জিজ্ঞাসাবাদের সময় আসল বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। অনুপমের পকেট থেকে বেশ কয়েকটি নকল কাগজও উদ্ধার হয়। এর পরই পুলিশ অনুপমকে গ্রেফতার করে।