মুম্বইয়ে স্ত্রী এবং সন্তানকে খুনের অভিযোগ যুবকের বিরুদ্ধে। —প্রতীকী চিত্র।
আট বছরের ছেলে ঘুমোচ্ছিল। পাশের ঘরেই স্ত্রীকে গলা টিপে খুন করেন যুবক। কাজ শেষ করার পর দেখতে পান, ছেলে জেগে উঠেছে! বাবার কীর্তিও সে দেখে ফেলেছে। অতঃপর প্রমাণ লোপাট করতে শিশুটিকেও খুন করে ফেলা হয়। ঘটনার এক দিন পর অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তদন্তকারীদের সামনে খুনের কথা স্বীকারও করে নিয়েছেন যুবক।
মুম্বইয়ের কাণ্ডিভালি পূর্ব এলাকার ঘটনা। নিহত মহিলার নাম পুষ্পা (৩৬)। তাঁর স্বামী শিবশঙ্কর দত্ত তাঁকে খুন করেছেন বলে অভিযোগ। সোমবার পুষ্পা এবং তাঁর আট বছরের সন্তানের দেহ উদ্ধার করা হয় তাঁদের বাড়ি থেকে। মহিলার স্বামীই লোকজন জড়ো করেন। তিনি দাবি করেছিলেন, সন্তানকে খুন করে তাঁর স্ত্রী আত্মঘাতী হয়েছেন। সেই মতো পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে। কিন্তু মহিলার ময়নাতদন্ত রিপোর্ট থেকেই জানা যায়, এটি আত্মহত্যা নয়, খুনের ঘটনা।
অভিযোগ, একাধিক ভুল তথ্য দিয়ে পুলিশকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছিলেন শিবশঙ্কর। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। পুলিশের জেরার মুখে অবশেষে তিনি খুনের কথা স্বীকার করে নেন। তদন্তকারী আধিকারিকদের তিনি জানিয়েছেন, তাঁর স্ত্রী বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। সে কথা জানতে পেরে রাগের মাথায় স্ত্রীর গলা টিপে ধরেছিলেন তিনি। শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মহিলার মৃত্যু হয়। সেই সময়ে দম্পতির সন্তান পাশের ঘরে ঘুমোচ্ছিল। কিন্তু চিৎকারে তার ঘুম ভেঙে যায়।
যুবক দেখেন, তাঁর কীর্তি পুত্র দেখে ফেলেছে। সে প্রতিবেশী বা পুলিশের কাছে ঘটনা ফাঁস করে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করেন তিনি। সেখানেই ছেলেকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করেন। গলা টিপে হত্যা করেন শিশুটিকে। এর পর ভোরে অন্যত্র চলে গিয়েছিলেন যুবক। দুপুরের দিকে ফিরে এসে দরজা ধাক্কা দেন। প্রতিবেশীদের জড়ো করে দেখান, জানলা দিয়ে দেখা যাচ্ছে স্ত্রী এবং পুত্রের মৃতদেহ। যুবকের আচরণে প্রথম থেকেই সন্দেহ হয়েছিল তদন্তকারীদের। ময়নাতদন্তের পর সেই সন্দেহ আরও দৃঢ় হয়। তাঁর বিরুদ্ধে খুনের ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।