— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
ধর্ষণ করতে হবে। কিন্তু প্রমাণ রাখা যাবে না। তাই ‘নির্যাতিতা’কে খুনও করে দিতে হবে। নবম শ্রেণির এক ছাত্রকে এমনই ‘বরাত’ দিয়েছিল সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্র। যার বিরুদ্ধে এই ষড়যন্ত্র, সেই ছাত্রীটি তার সহপাঠিনী। পরিকল্পনা করেও শেষমেশ তা পাল্টে ফেলে ধর্ষণ এবং খুনের ‘বরাত’ পাওয়া ছাত্রটি। সুপারি-তে মেলা ১০০ টাকা নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে গিয়ে গোটা ঘটনার কথা খুলে বলে সে। মহারাষ্ট্রের পুণের একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ঘটনা।
রবিবার সপ্তম শ্রেণির ওই ছাত্রীর বাবা থানায় অভিযোগ করেছেন। তাতে ওই দুই ছাত্রের সঙ্গে সঙ্গে প্রধানশিক্ষকের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের করেছেন। কারণ, প্রধানশিক্ষক এত বড় একটি কথা জানার পরেও নাকি দুই ছাত্রের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক কোনও পদক্ষেপ করেননি।
পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, সপ্তম শ্রেণির ওই ছাত্রীর সঙ্গে ঝগড়া হয়েছিল অভিযুক্ত ছাত্রটির। কারণ, ছাত্রীটি এক শিক্ষকের কাছে অভিযোগ করে যে সহপাঠী রিপোর্ট কার্ডে তার বাবার সই নকল করেছে। এ নিয়ে ছাত্রটিকে বকাঝকা করেছিলেন শিক্ষক। তাতেই নাকি চটে যায় ওই পড়ুয়া। সহপাঠিনীকে ‘সবক’ শেখাতে ১০০ টাকা ‘সুপারি’ দেয় নবম শ্রেণির এক ছাত্রকে। বলা হয়, ধর্ষণ এবং খুন করতে হবে।
ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ, এমন একটি ঘটনার কথা জানার পরেও স্কুল কর্তৃপক্ষ চুপচাপ থেকেছেন। তাঁরা দুই ছাত্রকে কোনও শাস্তি দেননি। ঘটনাটি মাস দুই আগের। তার পর অনেক বার স্কুলের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা। কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, খোঁজ নিয়েছেন। কিন্তু স্কুলের ভূমিকায় তাঁর বিস্মিত। এই সমস্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রধানশিক্ষক এবং দুই পড়ুয়ার নামে নির্দিষ্ট ধারায় অভিযোগ দায়ের করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার তিন জনকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল থানায়। পুলিশ জানিয়েছে, দুই শিক্ষক এবং প্রধানশিক্ষক এই বিষয়টি জানতেন। কিন্তু তাঁরা বিষয়টিকে গুরুত্ব দেননি। সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে।