রাম ঘাট থেকে পোড়া দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রতীকী ছবি।
বন্ধুর স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল এক ব্যক্তির। সেই সম্পর্কে কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছিল অন্য বন্ধু। সেই কাঁটা সরাতে কাগজ কাটার ছুরি দিয়ে বন্ধুর গলার নলি কেটে খুনের পর দেহ জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল বন্ধুর বিরুদ্ধে। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির ওয়াজিরাবাদে। এই ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম রশিদ। তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল মুনিশউদ্দিনের। দু’জনেই একসঙ্গে কল সারাইয়ের কাজ করতেন। খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন দু’জনে। পরস্পরের বাড়িতেও বেশ যাতায়াত ছিল তাঁদের। এই নিয়মিত যাতায়াতের মধ্যেই রশিদের স্ত্রীর সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠে মুনিশউদ্দিনের।
পুলিশ আরও জানতে পেরেছে যে, রশিদ মদ্যপান করে প্রায়শই স্ত্রীকে মারধর করতেন। রশিদের অত্যাচার থেকে মুক্তি পেতে চাইছিলেন তাঁর স্ত্রী। মুনিশউদ্দিনের সঙ্গে তাঁর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠায় দু’জনে মিলে রশিদকে সরিয়ে দেওয়া পরিকল্পনা করেন। অত্যাচার থেকে তাঁকে মুক্ত করতে গত ১০-১৫ দিন ধরে মুনিশউদ্দিনকে চাপ দিচ্ছিলেন রশিদের স্ত্রী। তার পরই তাঁরা রশিদকে খুনের পরিকল্পনা করেন।
জেরায় মুনিশউদ্দিন পুলিশকে জানিয়েছেন, পরিকল্পনা মতো রশিদকে রাম ঘাটে ডেকে পাঠানো হয়। সেখানে দু’জনে মিলে মদ্যপান করেন। তার পর মত্ত অবস্থায় রশিদকে ছুরি দিয়ে কোপান, গলার নলি কেটে দেন। প্রমাণ লোপাটের জন্য রশিদের দেহ পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। রাম ঘাটে স্থানীয়রা একটি পোড়া দেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। দেহটির ৯০ শতাংশ জ্বলে গিয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। তদন্তে নেমে মুনিশউদ্দিনের খোঁজ পায় পুলিশ। কিন্তু তিনি পলাতক ছিলেন। রবিবার ভোরে রোহিণী থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।