প্রতীকী ছবি।
তাঁর পুত্রসন্তান চাই-ই। স্ত্রীর গর্ভে পুত্রসন্তান আছে কি না তা নিশ্চিত হতে সাত মাসের অন্ত্বঃসত্তা স্ত্রীর পেট কেটে দেখার অভিযোগ উঠল উত্তরপ্রদেশের বদায়ুঁর এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
পুলিশ জানিয়েছে, গুরুতর জখম অবস্থায় মহিলাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মহিলার স্বামী পান্নালালকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পর পর পাঁচটি কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছেন ওই মহিলা। অভিযোগ, এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই অশান্তি লেগে থাকত। পুত্রসন্তানের জন্য এক প্রকার মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন পান্নালাল। স্ত্রী ষষ্ঠ বার গর্ভবর্তী হলে পুত্রসন্তানের আকাঙ্ক্ষা আরও বেড়ে গিয়েছিল তাঁর।
বদায়ুঁর শীর্ষ পুলিশ আধিকারিক প্রবীণ সিংহ চৌহান জানিয়েছেন, স্ত্রীর গর্ভে পুত্রসন্তান আদৌ পালিত হচ্ছে কি না, তা নিশ্চিত হতে ধারাল অস্ত্র দিয়ে তাঁর পেট কেটে ফেলেন পান্নালাল। ঘটনাটি জানাজানি হতেই পুলিশে খবর দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে পুলিশ এসে মহিলাকে উদ্ধার করে। গ্রেফতার করা হয়ে পান্নালালকে।
আরও পড়ুন: রাজ্যসভায় পাশ হল কৃষি বিল, ‘কৃষকদের মৃত্যু পরোয়ানা’ বলল কংগ্রেস
পান্নালালের স্ত্রীর পরিবারের অভিযোগ, পর পর কন্যাসন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য স্ত্রীর উপর অত্যাচার চালাতেন পান্নালাল। শুধু তাই নয়, "পুত্রসন্তান চাই-ই"— স্ত্রীকে এমন হুমকিও দিতেন বলে অভিযোগ।
দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এখনও কন্যাসন্তান নিয়ে সমাজে নানা ছুঁৎমার্গ রয়েছে। কোনও কোনও জায়গায় কন্যাভ্রূণ হত্যার মতোও ঘটনা ঘটছে। বদায়ুঁর এই ঘটনা হিমশৈলের চূড়া মাত্র।