—প্রতীকী চিত্র।
মেয়ের উপর নাকি ‘ভর’ হয়েছে। তাই তান্ত্রিকের পরামর্শ মতো কন্যাকে তাঁর হাতে তুলে দিয়েছিলেন বাবা-মা। ভূত তাড়ানোর নাম করে তরুণীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে সেই তান্ত্রিকের বিরুদ্ধে। তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের ভদোহী জেলার সিতামারহি এলাকার। ১৮ বছরের কন্যাকে নিয়ে মির্জ়াপুর থেকে কিছু দিন আগে ওই এলাকায় এসেছিলেন দম্পতি। সেখানেই তাঁদের দেখা হয় ৫২ বছরের প্রৌঢ়ের সঙ্গে। দম্পতি পুলিশকে জানান, ওই প্রৌঢ় তাঁদের কাছে নিজেকে তান্ত্রিক বলে পরিচয় দিয়েছিলেন। তিনিই জানিয়েছিলেন, তাঁদের কন্যার উপর ‘ভর’ হয়েছে। তাঁর শরীর থেকে ‘ভূত’ তাড়ানো প্রয়োজন। এর জন্য ওই পরিবারের কাছ থেকে পারিশ্রমিক হিসাবে চার হাজার টাকাও তিনি নেন বলে অভিযোগ।
তান্ত্রিকের কথা বিশ্বাস করে কন্যাকে তাঁর কাছে পাঠিয়েছিলেন ওই দম্পতি। অভিযোগ, বাইকে করে তরুণীকে একটি মন্দিরের পিছনের পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে যান প্রৌঢ়। সেখানে তিন ঘণ্টা ধরে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়। পরে তরুণীকে আবার আসতেও বলেন তিনি। ঘটনার কথা অন্য কাউকে বললে তরুণীকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
বাড়ি ফিরে সব কথা বাবা-মায়ের কাছে জানান ওই তরুণী। তার পরেই তাঁরা পুলিশের দ্বারস্থ হন। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রৌঢ়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় অপহরণ, ধর্ষণ, প্রতারণার মামলা রুজু হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তরুণীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ধর্ষিতার লিখিত বিবৃতি আদালতে জমা দিয়েছে পুলিশ।