—প্রতীকী চিত্র।
অসমের ট্যাটু শিল্পী তরুণীর দেহ উদ্ধার করা হল মহারাষ্ট্র থেকে। তাঁকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে তাঁর প্রেমিকের বিরুদ্ধে। অনলাইনে ওই যুবকের সঙ্গে তরুণীর আলাপ হয়েছিল। তাঁর সঙ্গে দেখা করতেই মহারাষ্ট্রের মুর্তিজ়াপুর শহরে গিয়েছিলেন তরুণী। সেখানে তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। যুবক পলাতক। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত তরুণীর নাম শান্তিক্রিয়া কাশ্যপ ওরফে কোয়েল (২৬)। তিনি অসমের বাসিন্দা হলেও গত কয়েক বছর ধরে মায়ের সঙ্গে দিল্লিতে থাকছিলেন। সেখান থেকে কাজের সন্ধানে গিয়েছিলেন মুম্বই। তার পরেই অনলাইনে তাঁর আলাপ হয় কুণাল ওরফে সানি শৃঙ্গারের সঙ্গে। তিনি মহারাষ্ট্রের আকোলা জেলার মুর্তিজ়াপুর শহরের বাসিন্দা। স্থানীয় একটি পানশালায় কাজ করেন ওই যুবক। পুলিশ জানতে পেরেছে, নিজের পানশালায় তরুণীকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন অভিযুক্ত। সেই সূত্রেই তরুণী তাঁর বাড়িতে থাকতে গিয়েছিলেন।
কিন্তু পানশালার মালিক তরুণীকে চাকরি দিতে পারেননি। গত ২১ জুলাই থেকে যুবকের সঙ্গে তাঁর বাড়িতে থাকছিলেন তরুণী। চাকরি না পাওয়া নিয়ে তাঁদের মধ্যে ঝামেলা হয় বলে অনুমান পুলিশের। হাতের কাছে পাওয়া ধারালো অস্ত্র দিয়ে তরুণীর মাথায় আঘাত করেন যুবক। পরে সেখান থেকে পালিয়ে যান। বুধবার রাতের এই ঘটনার পর বৃহস্পতিবার সকালে প্রতিবেশীদের সন্দেহ হলে তাঁরা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তরুণীর দেহ উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১০৩ ধারা অনুযায়ী মামলা রুজু করেছে পুলিশ। তরুণীর প্রেমিকই এ ক্ষেত্রে মূল সন্দেহভাজন। তাঁকে খুঁজতে দল গঠন করা হয়েছে।