প্রতীকী ছবি।
মত্ত অবস্থায় প্রায় দিনই বাড়িতে এসে স্ত্রীর সঙ্গে অশান্তি করতেন। শনিবারও মত্ত অবস্থায় ঘরে ঢুকেছিলেন হাল্কেরাম কুশওয়া। কিন্তু এ দিন অশান্তি চরমে উঠেছিল।
হাল্কেরামের দুই ছেলে। ওই দিন তারা বাড়িতেই ছিল। হাল্কেরাম তাদের ঘর থেকে বের করে দেন। অভিযোগ, এর পর স্ত্রী দুর্গা বাঈয়ের চোখে, মুখে এবং নাকে শক্তিশালী আঠা ঢেলে দেন। দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয় দুর্গার। সুযোগ বুঝে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান হাল্কেরাম।
এর কিছু ক্ষণ পরেই তাঁদের এক ছেলে ঘরে ঢুকতেই আঁতকে ওঠে। দেখে তাদের মা নিথর হয়ে মেঝেতে পড়ে আছে। তখনই চিত্কার করে প্রতিবেশীদের ডাকে সে। পাড়া-পড়শিরা ছুটে এসে দেখেন দুর্গা মৃত অবস্থায় ঘরে পড়ে আছেন। এ দিকে হাল্কেরামের খোঁজ করেও তার পাত্তা পাননি স্থানীয়রা। তাঁরাই বিষয়টি জানিয়ে পুলিশকে খবর দেন। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের বিদিশায়।
আরও পড়ুন: ছুরি নিয়ে বিজয়নের ঘরে ধাওয়া করে আটক
হাল্কেরামের ছেলের অভিযোগ, তাদের বাবা প্রায়ই মদ খেয়ে বাড়িতে আসতেন। মায়ের সঙ্গে অশান্তি ছিল নিত্য রুটিন। এর আগেও বেশ কয়েকবার দুর্গাকে বিষ খাইয়ে মারার চেষ্টা করেছিলেন হাল্কেরাম। কিন্তু সে চেষ্টা ব্যর্থ হয় বলে জানিয়েছে হাল্কেরামের ছেলে। সে পুলিশকে জানায়, ওই দিন তাদের দু’জনকে ঘর থেকে জোর করে বের করে দেন হাল্কেরাম। তার পরই খুন করেন দুর্গা বাঈকে।
পুলিশ হাল্কেরামের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে।
ঠিক একই রকম ঘটনা ঘটেছিল ২০১৬-য়। ঘটনাস্থল রাজ্যেরই রেওয়া জেলা। সেই ঘটনায় মদ্যপ স্বামীর চোখে আঠা ঢেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল এক মহিলার বিরুদ্ধে।