টাকা না পেয়ে পরিবারের তিন সদস্যকে খুন যুবকের। প্রতীকী ছবি।
বাবা-মায়ের কাছে টাকা চেয়েছিলেন পুত্র। তাঁরা টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এর পর ঠাকুমার কাছেও টাকা চান, কিন্তু তিনিও টাকা দেবেন না বলে জানিয়ে দেন। পরিবারের কারও কাছ থেকে টাকা না পেয়ে তিন জনকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। শুধু খুন করাই নয়, তাঁদের দেহও পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে ছত্তীসগঢ়ের মহাসামুন্দ জেলার পুটকা গ্রামে। অভিযুক্তের নাম উদিত ভই। পুলিশ জানিয়েছে, উদিত মাদকাসক্ত। নেশার জন্য টাকা না পেয়ে পরিবারের ৩ সদস্যদের খুন করেছেন তিনি। ওই দিন সন্ধ্যায় বাবা-মায়ের সঙ্গে একপ্রস্ত ঝামেলা হয় উদিতের। তার পর বিষয়টি সেখানেই থেমে গিয়েছিল।
রাতে বাড়ির সকলে ঘুমিয়ে পড়লে তখন তাঁদের উপর লাঠি নিয়ে হামলা চালান উদিত। অভিযোগ, ঘুমন্ত অবস্থায় বাবা প্রভাত ভইয়ের মাথায় প্রথমে আঘাত করেন উদিত। সেই আঘাতেই মৃত্যু হয় তাঁর। মা বাধা দিতে গেলে তাঁকেও একই ভাবে খুন করেন তিনি। চিৎকার শুনে ঠাকুমা বেরিয়ে এলে তাঁকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারেন উদিত। লাঠির আঘাতে ঠাকুমারও মৃত্যু হয়। পুলিশ জানিয়েছে, এর পর ৩ জনের দেহ বাথরুমে ঢুকিয়ে রাখেন উদিত। পর দিন সেই দেহগুলি বাড়ির পিছনে নিয়ে গিয়ে পুড়িয়ে দেন তিনি। তার পর থানায় গিয়ে ৩ জনের নামে নিখোঁজ ডায়েরি করেন।
উদিতের ভাই অমিত কাছেও মা-বাবা এবং ঠাকুমার নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার খবর পৌঁছয়। কিন্তু অমিত সন্দেহ হয়। পড়াশোনার জন্য রাইপুরে থাকতেন তিনি। সেখান থেকে গ্রামে ফিরে আসেন। বাড়িতে যে ঘরে মা-বাবা থাকতেন, সেই ঘরে রক্তের দাগ দেখতে পেয়ে সন্দেহ আরও দৃঢ় হয়। বাড়ির পিছনে পোড়া কাঠও দেখতে পেয়েছিলেন তিনি। তার পরই থানায় বিষয়টি জানান। এর পরই উদিতকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই আসল ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। উদিত স্বীকার করেন তিনিই ৩ জনকে খুন করে পুড়িয়ে দিয়েছেন। এর পরই উদিতকে গ্রেফতার করে পুলিশ।