বন্ধুর মাথা থেঁতলে খুনের অভিযোগ যুবকের বিরুদ্ধে। প্রতীকী ছবি।
কয়েক মিনিটের বচসায় বন্ধুকে খুন করে বসলেন যুবক। পাথর দিয়ে তাঁর মাথা থেঁতলে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। তার পর দেহ সিমেন্টের বস্তা দিয়ে ঢাকা দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গিয়েছেন অভিযুক্ত।
ঘটনাটি হায়দরাবাদের বলপুরের মিনার কলোনি এলাকার। মৃতের নাম মহম্মদ শাহ ফয়জল। গত ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। ১৪ দিন পর তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযুক্ত আব্দুল জাব্বরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, গত ১২ ফেব্রুয়ারি জাব্বর এবং ফয়জল মিনার কলোনিতে জাব্বরের বাড়ি যান। সেখান থেকে এক আত্মীয়ের বাড়ি যাওয়ার কথা ছিল ফয়জলের। তিনি জাব্বরকে বাইকে করে আত্মীয়ের বাড়ি পৌঁছে দিতে বলেছিলেন। কিন্তু বন্ধু তাতে রাজি হননি। এই নিয়েই দু’জনের মধ্যে বচসা বাঁধে। যা ক্রমে হাতাহাতিতে পরিণত হয়। অভিযোগ, বচসা চলাকালীন রাগের মাথায় রাস্তা থেকে একটি কাঠের পাটাতন তুলে নেন জাব্বর। তা দিয়ে সজোরে ফয়জলের মাথায় আঘাত করেন।
আঘাতের চোটে জ্ঞান হারান ফয়জল। অভিযোগ, জাব্বর এর পর পাথর দিয়ে বন্ধুর মাথা থেঁতলে দেন। তাঁর মৃতদেহ ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয় নিকটবর্তী পাথরের উপর। সিমেন্টের বস্তা চাপা দিয়ে দেহটি তিনি ঢেকেও ফেলেন।
ফয়জলের পকেট থেকে তাঁর মোবাইল ফোনটি তুলে নিয়ে গিয়েছিলেন অভিযুক্ত। সেই সূত্র ধরেই পুলিশ তাঁর হদিস পান। ফয়জলের পরিবার থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে। পুলিশ তাঁর মোবাইল ফোনের লোকেশন খুঁজে জাব্বরের কাছে পৌঁছয়। অভিযোগ, খুনের দু’দিন পরেই মোবাইল ফোনটি ৭ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেওয়া হয়েছিল। জাব্বরকে গ্রেফতার করে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। জেরার মুখে তিনি স্বীকার করে নেন খুনের কথা। তাঁর বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিশ।