প্রতীকী চিত্র।
ভাইয়ের বিয়েতে এসে পরিবারের চার সদস্য-সহ মোট পাঁচ জনকে কুপিয়ে খুন করলেন যুবক। আরও দু’জনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তিনি আক্রমণ করেছিলেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের মণিপুরি জেলার গোকুলপুর গ্রামের। শনিবার সকালে পাঁচ জনকে খুন করার পর যুবক নিজের বুকেও গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করেন। অভিযুক্তের নাম শিববীর যাদব। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এসডিজি প্রশান্ত কুমার জানিয়েছেন, যুবকের হাতে তাঁর দুই ভাই, ভাইয়ের সদ্যবিবাহিত স্ত্রী, শ্যালক এবং এক বন্ধুর মৃত্যু হয়েছে। মৃতেরা হলেন, সোনু যাদব (২১), সোনি (২০), সৌরভ (২৩) এবং দীপক (২০)।
এ ছাড়া, ওই যুবক তাঁর স্ত্রী ডলি এবং মামি সুষমাকেও ধারালো অস্ত্রের কোপ মেরেছেন। তাঁরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পুলিশ জানিয়েছে, যুবকের কাছে একটি বেআইনি পিস্তল ছিল। পাঁচ জনকে খুনের পর সেই পিস্তল দিয়ে তিনি নিজেকে গুলি করেন। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় তাঁরও। তিনি নয়ডায় একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মী ছিলেন। ভাইয়ের বিয়ে উপলক্ষে গ্রামে এসেছিলেন। কেন বিয়েবাড়িতে এসে এমন মারমুখী হয়ে উঠলেন, কী নিয়ে তাঁদের মধ্যে বচসা হয়েছিল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ এলাকায় জিজ্ঞাসাবাদ করে খুনের কারণ অনুসন্ধানের চেষ্টা করছে। এই ঘটনা গোটা গ্রামে যথেষ্ট চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনার পর বাড়িতে মৃতদেহ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল। রক্তে ভেসে যাচ্ছিল চারদিক। সেই দৃশ্য গ্রামবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে।