অভিযুক্তের গাড়িটিকে বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত।
বাসস্ট্যান্ডের কাছে বার বার গাড়ি নিয়ে আসছিলেন, আর বার বার হর্ন বাজাচ্ছিলেন এক ব্যক্তি। হর্নের তীব্র আওয়াজে বিরক্ত হয়ে চালককে তা বাজাতে নিষেধ করেছিলেন এক পুলিশ আধিকারিক। ওই পুলিশ আধিকারিককেই মারধরের অভিযোগ উঠল চালকের বিরুদ্ধে। শুধু তাই-ই নয়, ওই পুলিশ আধিকারিককে অপহরণ করে গাড়িচালক নিয়ে যান বলেও অভিযোগ। ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের সাগর জেলার।
পুলিশ সূত্রে খবর, বাসস্ট্যান্ডের সামনে দিয়ে বার বার যাতায়াত করছিলেন ওই গাড়িচালক। তখন অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইনস্পেক্টর রামলাল আহিরওয়ার ওই এলাকায় টহল দিচ্ছিলেন। তিনি লক্ষ করেন, এক ব্যক্তি বার বার বাসস্ট্যান্ডের সামনে দিয়ে যাচ্ছেন আর জোরে জোরে হর্ন বাজাচ্ছেন। এএসআই আহিরওয়ার গাড়িটিকে থামান। তার পর চালককে জিজ্ঞাসা করেন, কেন জোরে হর্ন বাজাচ্ছেন। ট্র্যাফিক আইন ভাঙার অপরাধে ওই ব্যক্তিকে থানায় আসতে বলেন এএসআই।
গৌরঝামার থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক ব্রিজমোহন কুশওয়া বলেন, “এএসআই আহিরওয়ার বাধা দিতেই তাঁকে জোর করে টেনে নিয়ে গাড়িতে বসান চালক। তার পর তাঁকে নিয়েই এলাকা ছেড়ে পালান। চালকের পিছু নেয় পুলিশের একটি গাড়ি। পুলিশকে পিছু ধাওয়া করতে দেখে এএসআইকে রাস্তায় ফেলে দিয়ে চম্পট দেন চালক।”
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের নাম চন্দ্রদাস। তাঁর বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা দেওয়া, অপহরণ এবং মারধরের মামলা রুজু হয়েছে। চন্দ্রদাসের গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। কিন্তু তাঁর হদিস পায়নি।