স্ত্রীকে খুনের পর রঙ্গস্বামী। ছবি: সংগৃহীত।
গত ফেব্রুয়ারিতে পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুরের একটি ঘটনায় শিউরে উঠেছিল গোটা দেশ। তার কয়েক দিনের মধ্যে এ বার প্রায় একই রকম ঘটনা প্রকাশ্যে এল। এ বার ঘটনাস্থল অন্ধ্রপ্রদেশের নান্দিয়াল জেলা। প্রকাশ্য রাস্তায় কাস্তে দিয়ে স্ত্রীর মাথা কেটে ফেললেন স্বামী। হামলা চালালেন শাশুড়ির উপরেও।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের নাম রঙ্গস্বামী। সোমবার মাকে সঙ্গে নিয়ে বাজারে গিয়েছিলেন রঙ্গস্বামীর স্ত্রী কুমারী। সেখানে পোঁছে যান রঙ্গস্বামীও। বাজার করে ফেরার পথে স্ত্রীর পথ আটকে দাঁড়ান তিনি। বচসা শুরু হতেই আচমকা একটি কাস্তে বার করে স্ত্রীর গলায় কোপ বসিয়ে দেন। বেশ কয়েক বার কোপের পর স্ত্রী মাথা ধড় থেকে আলাদা করে ফেলেন তিনি। তার পর চিৎতার করতে করতে শাশুড়ির উপরও ঝাঁপিয়ে পড়েন। কিন্তু তিনি কোনও রকমে একটি জায়গায় আশ্রয় নেন।
এই ঘটনা যখ ঘটছিল, তখন পথচারীরা চিৎকার করে রঙ্গস্বামী থামানোর চেষ্টা করেন। কেউ কেউ আবার সেই ঘটনার ভিডিয়োও করতে থাকেন। রঙ্গস্বামী যখন স্ত্রীর গলায় একের পর এক কোপ মারছিলেন, সকলে তাঁকে বুঝিয়ে নিরস্ত করার চেষ্টা করেন ঠিকই, কিন্তু কেউই তাঁকে আটকানোর চেষ্টা করেননি বলে রঙ্গস্বামীর শাশুড়ির দাবি। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, এক ব্যক্তি আচমকাই সকলের সামনে স্ত্রীকে কোপাতে শুরু করেন। ফলে ভয়ে কেউই তাঁর ধারেকাছে ঘেঁষতে পারেননি। স্ত্রীকে খুনের পর ওই ব্যক্তি ঘটনাস্থল ছেড়ে চলে যান। স্থানীয়রাই পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে। রঙ্গস্বামীর শাশুড়িকে হাসপাতালে ভর্তি করায়।
পুলিশ জানিয়েছে, কী কারণে মহিলাকে খুন করা হল তা স্পষ্ট নয়। তবে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, পারিবারিক অশান্তির জেরেই এই ঘটনা। অভিযুক্ত রঙ্গস্বামীর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রায় একই রকম ঘটনা ঘটেছিল পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরে। পারিবারিক অশান্তির জেরে স্ত্রীর মাথা কেটে ফেলার অভিযোগ ওঠে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। তার পর সেই কাটা মুন্ডু হাতে নিয়ে একটি বেঞ্চে গিয়ে বসেন। পটাশপুরের সেই ঘটনায় শিহরিত হয় গোটা রাজ্য এমনকি গোটা দেশ।