Mamata Banerjee

ইউজিসি-নির্দেশ: বদলই চান মমতা

কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে এ বছরের মতো পরীক্ষা এড়ানোর বিষয়টি চূড়ান্ত করে ফেলেছিল পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা দফতর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি ও কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০২০ ০৩:৪৪
Share:

—ফাইল চিত্র।

করোনা-কালে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের চূড়ান্ত সিমেস্টার ও চূড়ান্ত বর্ষের পড়ুয়াদের পরীক্ষার মুখে ঠেলে দেওয়ার প্রতিবাদে আগেই প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সিদ্ধান্তে যাতে পড়ুয়ারা সমস্যায় না-পড়েন, তা দেখার জন্য নরেন্দ্র মোদীকে আজ ফের অনুরোধ জানালেন তিনি।

Advertisement

এ দিনই আবার সুপ্রিম কোর্টে এই সংক্রান্ত মামলায় পড়ুয়া পক্ষের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভির সওয়াল, চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ করতে ইউজিসি-র ওই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে কার্যত আইনের কথা মাথায় না-রেখেই। চূড়ান্ত শুনানি ৩১ জুলাই। ইউজিসি-নির্দেশের প্রতিবাদে এ দিন মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের সামনে বিক্ষোভ দেখায় কিছু ছাত্র সংগঠনও।

কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে এ বছরের মতো পরীক্ষা এড়ানোর বিষয়টি চূড়ান্ত করে ফেলেছিল পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা দফতর। সেই অনুযায়ী, আগের সিমেস্টারের নম্বর এবং অভ্যন্তরীণ পরীক্ষার ভিত্তিতে মূল্যায়নের রূপরেখাও কার্যত চূড়ান্ত করে ফেলেছিল বিশ্ববিদ্যালয়গুলি। কিন্তু সেই পরিকল্পনা কিছুটা থমকে গিয়েছে ৬ জুলাই ইউজিসি-র জারি করা নতুন নির্দেশিকার কারণে। তাতে চূড়ান্ত সিমেস্টার ও বর্ষের পরীক্ষা ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ করতে বলা হয়েছে।

Advertisement

সেই প্রসঙ্গেই মুখ্যমন্ত্রী আজ মোদীকে বলেন, ‘‘কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ইউজিসি-র আগের নির্দেশিকা অনুযায়ী প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এখন তারা বলছে, পরীক্ষা নেওয়া বাধ্যতামূলক। সব কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য তা সমস্যার হবে। কবে কোভিড যাবে, তা-ও নিশ্চিত করে বলা যায় না। পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়াতে হবে।” প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাঁর আর্জি, “আপনি দয়া করে বিষয়টি দেখুন। যাতে ছাত্রছাত্রীদের সমস্যা না-হয়।” ইউজিসি-র নতুন নির্দেশিকার বিরোধিতায় ১১ জুলাই মোদীকে চিঠি দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।

আগেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন জনা ত্রিশেক পড়ুয়া। এ দিন সর্বোচ্চ আদালতে বিচারপতি অশোক ভূষণের বেঞ্চে ছিল তার শুনানি। সেখানে কেন্দ্র ও ইউজিসি-র তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানান, ২২ জুলাই পর্যন্ত মন্ত্রকের কাছে পরীক্ষা সম্পর্কে নিজেদের অবস্থান জানিয়েছে ৮১৮টি বিশ্ববিদ্যালয়। এদের মধ্যে ২০৯টি বিশ্ববিদ্যালয় ইতিমধ্যেই খাতায়-কলমে কিংবা অনলাইন পরীক্ষা নিয়েছে। অগস্ট-সেপ্টেম্বরে তা নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে ৩৯৪টি বিশ্ববিদ্যালয়। জোর দেওয়া হচ্ছে পরীক্ষা কেন্দ্রে পর্যাপ্ত সুরক্ষা-বিধি মানার উপরেও।

১০ অগস্ট পরের শুনানির দিন ধার্য হওয়া নিয়ে সওয়াল হচ্ছিল। কিন্তু আইনজীবী অলখ অলোক শ্রীবাস্তব আর্জি জানান, পড়ুয়াদের উদ্বেগের কথা মাথায় রেখে হয় এ মাসের মধ্যে শুনানি শেষ হোক, নয়তো আপাতত স্থগিতাদেশ দেওয়া হোক সেপ্টেম্বরের মধ্যে পরীক্ষা শেষের দিন ক্ষণের উপরে। শেষে ঠিক হয়েছে, চূড়ান্ত শুনানি ৩১ জুলাই-ই। যে কারণে ২৯ তারিখের মধ্যে ইউজিসি-কে নিজেদের বক্তব্য জানাতে বলেছে কোর্ট। যাতে পাল্টা যুক্তি তুলে ধরার সুযোগ পান প্রতিবাদী পড়ুয়ারা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement