জরুরি অবস্থা নিয়ে টুইট-তরজা। গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।
নরেন্দ্র মোদীর সরকারকে আবার আক্রমণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মোদীর নাম করলেন না। কিন্তু জরুরি অবস্থা জারির ৪৪ তম বছরে টুইট করলেন তিনি। সেই টুইটেই অভিযোগ করলেন, গত পাঁচ বছর ধরে ‘সুপার ইমার্জেন্সি’ চলছে দেশে। তার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ডাকও দিলেন।
৪৪ বছর আগে ইন্দিরা গাঁধীর জারি করা জরুরি অবস্থাকে আক্রমণ করে মঙ্গলবার টুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের টুইটও একই উপলক্ষে। কিন্তু মমতার নিশানায় ইন্দিরা জমানা নয়, তিনি নিশানা করেছেন মোদী জমানাকে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইটারে লিখেছেন, ‘‘১৯৭৫ সালে আজকের দিনেই জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছিল। গত ৫ বছর ধরে দেশে ‘সুপার ইমার্জেন্সি’ চলেছে। ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের উচিত দেশের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার জন্য লড়াই করা।’’
আরও পড়ুন: ঝাড়খণ্ডে গণপিটুনিতে মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার ১১, বরখাস্ত দুই পুলিশ অফিসার
নরেন্দ্র মোদীর শাসনকালকে ‘সুপার ইমার্জেন্সি’ আখ্যা দেওয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে এই প্রথম নয়। গত কয়েক বছরে তিনি বহু বার বলেছেন এ কথা। জাতীয় স্তরে মোদী বিরোধী জোট গড়ে তোলার চেষ্টা যখন করেছেন, তখনও বার বার ‘সুপার ইমার্জেন্সি’র বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ডাক দিতে দেখা গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ভোটের ফল বলছে, সে আহ্বানে খুব একটা সাড়া মেলেনি। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝিয়ে দিলেন, ভোটের ফল যা-ই হোক, তিনি নিজের অবস্থান থেকে নড়তে নারাজ। নরেন্দ্র মোদীর শাসনকে তিনি এখনও ‘সুপার ইমার্জেন্সি’ই মনে করছেন, এ দিনের টুইটে তা ফের বুঝিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
১৯৭৫ সালে তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গাঁধী যে জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন, এ দিন তার নিন্দায় নরেন্দ্র মোদীও টুইট করেছেন। সে টুইটে রয়েছে ১ মিনিট ২৭ সেকেন্ডের একটি ভিডিয়ো। তাতে জরুরি অবস্থার সময়ের স্মৃতিচারণ। আর ভিডিয়োর নীচে লেখা, ‘‘ভারত সেই সব মহৎকে কুর্নিশ করে, যাঁরা তীব্র এবং নির্ভীক ভাবে জরুরি অবস্থার বিরোধিতা করেছিলেন। একটা কর্তৃত্ববাদী মানসিকতার বিরুদ্ধে সফল ভাবে টিকে থেকেছে ভারতের গণতান্ত্রিক মানসিকতা।’’
আরও পড়ুন: সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘সুন্দরী’ ফাঁদ, হানিট্র্যাপ নিয়ে জওয়ানদের সতর্ক করল সেনা
জরুরি অবস্থার ৪৪ তম বর্ষে মমতার টুইটে মোদীর প্রতি খোঁচা থাকলেও মোদীর টুইটে মমতার প্রতি কোনও কটাক্ষ থাকবে, এমনটা রাজনৈতিক শিবির আশা করেনি। তেমন কিছু ঘটেওনি। তবে মোদী মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্য মমতাকে রেয়াত করেননি। প্রকাশ জাভড়েকরের টুইট, ‘‘যে ভাবে মমতা আজ শাসন করছেন, তা জরুরি অবস্থার চেয়ে কোনও অংশে কম নয়।’’ মোদীর আর এক মন্ত্রী তথা বাংলা থেকে নির্বাচিত সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীও আক্রমণ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যাকে। প্রায় মমতার ভাষাই মমতাকে ফিরিয়ে দিয়েছেন দেবশ্রী। তাঁর টুইট, ‘‘আমরা এমন একটা রাজ্যে বাস করছি, যেখানে রাজ্য সরকার গোটা পশ্চিমবঙ্গে সুপার ইমার্জেন্সি জারি করেছে...।’’
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।
(দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরাবাংলা খবরপেতে পড়ুন আমাদেরদেশবিভাগ।)