ধর্মতলার ধর্নামঞ্চে ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী দিল্লিতে বিরোধী দলগুলির সম্মিলিত কর্মসূচিতে যোগ দিতে আজ, মঙ্গলবার রওনা হচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে বুধবার যন্তরমন্তরে ‘ইউনাইটেড ইন্ডিয়া’-র নামে সভা হবে। মূল উদ্যোক্তা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল।
ওই দিনই লোকসভার অধিবেশন শেষ হচ্ছে। ভোটের আগে আর অধিবেশন হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তাই এই দিনটিকেই বেছে নেওয়া হয়েছে। মমতার কথায়, ‘‘বর্তমান সরকারের আমলে লোকসভার শেষ দিনে আমরা বিরোধী দলগুলি একসঙ্গে নয়া ভারত গড়ার কথা ঘোষণা করব। সবাই মিলে জানিয়ে দেব, লোকসভা অধিবেশন শেষের সঙ্গে সঙ্গে এই সরকারের ফিরে আসার সম্ভাবনাও শেষ হল।’’
দিল্লি রওনা হওয়ার আগে নিজের ফেসবুক পেজে সোমবার ‘চাবি’ শীর্ষক একটি কবিতা লিখেছেন মমতা। যার শুরু : ‘সবার মুখে চাবি দেবে? / সবার ভাষা স্তব্ধ করবে?’ এবং শেষ : ‘অপেক্ষা করো / উত্তাল ঢেউ অহংকে/ ডুবিয়ে দেবেই দেবে।’ পর্যবেক্ষকদের মতে, লক্ষ্য পরিষ্কার। বিজেপি-শাসকদের বিরুদ্ধে ‘ভয় দেখিয়ে মুখ বন্ধ করার’ যে অভিযোগ মমতা এবং বিরোধী নেতারা তুলছেন, তারই জোরালো প্রতিবাদ দিল্লির সমাবেশ থেকেও তাঁরা করবেন।
ব্রিগেডে মমতার ডাকা ১৯ জানুয়ারির সমাবেশে তৃণমূল ছাড়াও ২৩টি বিরোধী দল যোগ দিয়েছিল। এসেছিলেন সব দলের শীর্ষ নেতারা। কংগ্রেসের পক্ষে ছিলেন লোকসভার দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়গে। দিল্লিতে এ বারের সমাবেশেও ব্রিগেডে উপস্থিত নেতাদের অধিকাংশই থাকবেন বলে এখনও স্থির আছে। সভার আহ্বায়ক যেহেতু কেজরীবাল, তাই কংগ্রেসের উপস্থিতি নিয়ে কিছুটা সংশয় রয়েছে। আলোচনা চলছে। সমাবেশের পরের দিন, বৃহস্পতিবার বিরোধী নেতারা একসঙ্গে বৈঠকেও বসতে পারেন। এরই সঙ্গে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে কাল সকালে তৃণমূলের সংসদীয় দল সংসদ চত্বরে গাঁধী মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসবে বলে দলীয় সূত্রের খবর।