তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গাঁধী।—ছবি পিটিআই।
করোনা মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় অর্থ দিচ্ছে না কেন্দ্র। উল্টে রাজ্যের অধিকার তথা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে ভাঙার চেষ্টা করছে। আবার সেটাকেই কাজে লাগিয়ে বিরোধী দল পরিচালিত রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে রাজনীতি করছে বিজেপি। শুক্রবার বিকেলে বিরোধী দলগুলির ভিডিয়ো বৈঠকে কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গাঁধী এবং তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ নিয়েই সরব হবেন বলে জানা গিয়েছে। বিরোধী দলের অন্যান্য নেতা ও মুখ্যমন্ত্রীরাও মোটের উপর এক সুরে চাপ তৈরি করবেন মোদী সরকারের উপর।
সূত্রের খবর, আগামিকালের বৈঠকে গোড়া থেকে থাকতে পারবেন না মমতা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সঙ্গে নিয়ে আমপানের তাণ্ডবে উপদ্রুত এলাকা আকাশপথে পরিদর্শন করে বিকেল চারটে নাগাদ (বিকেল তিনটে থেকে ভিডিয়ো বৈঠক শুরু) বৈঠকে যোগ দেবেন তিনি। তৃণমূলের তরফে বিরোধীদের এই বৈঠকে গোড়া থেকে হাজির থাকার জন্য দলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আগামিকাল মমতা বিরোধীদের বৈঠকে যে বক্তব্য পেশ করবেন, তাতে কোভিড-১৯ এর পাশাপাশি আমপানের কারণে বিধ্বস্ত দক্ষিণবঙ্গে ত্রাণ ও পুনর্গঠনের প্রসঙ্গ তুলবেন বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন মমতা।
গত কাল রাতে মমতার সঙ্গে যোগাযোগ করে আমপানের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে জানতে চান সনিয়া গাঁধী এবং প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা। এই দুর্যোগে রাজ্য সরকারের পাশে থাকার বার্তাও দিয়েছেন তাঁরা। সূত্রের খবর, মমতা আগামিকাল যে বিষয়গুলি নিয়ে সরব হবেন, তাতে সনিয়ার দলেরও সিলমোহর থাকতে চলেছে। কেন্দ্র যে করোনা মোকাবিলার জন্য প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তা করছে না, এ ব্যাপারে কংগ্রেস শাস্তি রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীরাও সরব।
পরিযায়ী শ্রমিকদের হাতে সরাসরি টাকা তুলে দেওয়া এবং তাঁদের পুনর্বাসন নিয়ে বৈঠকে বলবেন সনিয়া। অন্য দিকে আয়করের আওতার বাইরে থাকা পরিবারপিছু সাড়ে সাত হাজার টাকা দেওয়ার দাবি জানাবেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। পরিযায়ী শ্রমিকদের বিনামূল্যে বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করা, দরিদ্র মানুষের হাতে খাদ্যশস্য তুলে দেওয়া, অতিমারির সঙ্গে লড়াই করা রাজ্যগুলির হাতে প্রয়োজনীয় অর্থ দেওয়ার মতো বিষয় নিয়েও সরব হবে বামেরা।
বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবগৌড়া। থাকার কথা ছোট-বড় ১৮টি রাজনৈতিক দলের নেতাদের। আপ এবং এসপি আগেই জানিয়ে দিয়েছে, তাদের কোনও প্রতিনিধি থাকবেন না বিরোধী বৈঠকে।