মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ও অমিত শাহ। ছবি: টুইটার
দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর বুধবার প্রথম দিল্লি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী। এটাও প্রথম বার। আজ দুপুরে নর্থ ব্লকে বৈঠকে বসেন দু’জন।
বুধবার ঝাড়খণ্ডে ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাঁর মন্ত্রকের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর তরফে সময় চাওয়া হয়। সেই মতো এ দিন দুপুরে সময় দেওয়া হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পর দিনই প্রধানমন্ত্রীর পরেই সরকারের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গে বৈঠক মুখ্যমন্ত্রীর। কী নিয়ে আলোচনা হতে পারে দু’জনের? মনে করা হচ্ছে, অমিত শাহের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের আলোচনার প্রথম দিকেই উঠে আসতে পারে রাজ্যের নাম বদল প্রসঙ্গ। নাম বদল নিয়ে এর আগে কেন্দ্রকে দু’বার প্রস্তাব পাঠিয়েছে রাজ্য। কিন্তু, তা নিয়ে ইতিবাচক কোনও উত্তর কেন্দ্রের তরফে মেলেনি। ফলে, সেই প্রসঙ্গ দু’জনের আলোচনায় উঠে আসতে পারে। রাজ্যের নাম বদল করতে গেলে সবুজ সঙ্কেত দিতে হবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককেই। সে কথা অমিত শাহকে জানাতে পারেন মমতা।
আরও পড়ুন: কেমন চলছে হাঁটা? ঘরে ঢুকতেই দিদির কাছে জানতে চাইলেন মোদী
গত লোকসভা ভোটের আগে থেকেই বিজেপি ও তৃণমূলের রাজনৈতিক বিরোধ চরমে উঠেছে। রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে একে অপরকে নিশানাও করেছেন বার বার। এমনকি বিজেপি দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর ও অমিত শাহ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার পরে দ্বন্দ্ব বেড়েছে বই কমেনি। তাই বর্তমান সময়ের প্রেক্ষিতে এই বৈঠককে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে অবশ্য এই সাক্ষাৎকে আনুষ্ঠানিক এবং সৌজন্যমূলক বলে দাবি করা হয়েছে। বুধবার মমতা নিজেও সেই দাবি করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘এটি একটা চেয়ারের সঙ্গে একটি চেয়ারের বৈঠক। আমি এর আগে যখনই দিল্লি এসেছি প্রাক্তন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির সঙ্গে দেখা করেছি।’’
আরও পড়ুন: ‘অনন্য অভিজ্ঞতা’, প্রথম প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে দেশীয় প্রযুক্তির তেজসে উড়লেন রাজনাথ
এর আগে, আইনশৃঙ্খলা নিয়ে কেন্দ্রের পাঠানো পরামর্শকে রাজ্যের এক্তিয়ারে হস্তক্ষেপ বলে অভিযোগ করেছে তৃণমূল। দু’তরফের মনোমালিন্য চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে মাওবাদী এলাকা থেকে আধা সেনা সরানো বা সারদা মামলায় পুলিশকর্তা রাজীব কুমারকে সিবিআই তলব নিয়ে। আর সম্প্রতি এনআরসি নিয়েও তিক্ততা তুঙ্গে উঠেছে। এই আবহের মধ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ নিয়ে দেশ জুড়েই আগ্রহ তৈরি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মমতার সাক্ষাতের দিন থেকেই বিরোধিতার সুর চড়াচ্ছে সিপিএম ও প্রদেশ কংগ্রেস। অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়টি নিয়েও আক্রমণ শানাচ্ছে দুই বিরোধী।