তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি পিটিআই।
উত্তরপ্রদেশে ভোটের আগে বারাণসী যেতে আগ্রহী তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানকার পেঁড়া তাঁর খুবই পছন্দের!
২০২৪-এর ভোটের আগে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভোট উত্তরপ্রদেশে। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি-কে ধাক্কা দেওয়ার পর তিনি কি যাবেন সেই রাজ্যে? সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে কিছুটা রহস্য করেই পেঁড়া-উত্তরটি আজ দিয়েছেন মমতা। শুধু বারাণসী নয়, মথুরা, বৃন্দাবনেও যেতে চান তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘ সাংবাদিক বিনীত নারায়ণ আমার জন্য বারাণসীর প্রসাদ নিয়ে এসেছিলেন। বারাণসীও তো আমার দেশ। কেন যাব না সেখানে?’’
ঘটনা হল বারাণসী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্বাচনী কেন্দ্রও বটে। রাজনৈতিক শিবিরের বক্তব্য, বারাণসী যাওয়ার কথা বলে বার্তা দিতে চাইলেন মমতা। পশ্চিমবঙ্গে ভোটের আগে সমাজবাদী পার্টির তরফে ঘোষণা করে তৃণমূলকে সমর্থন দেওয়া হয়েছিল। এ বার উত্তরপ্রদেশের ভোটে তিনি এসপি-র হয়ে প্রচার করবেন কি না তা নিয়ে এখনও কোনও আলোচনা হয়নি বলেই জানিয়েছেন মমতা। কিন্তু বার বার বুঝিয়ে দিয়েছেন, উত্তরপ্রদেশের ভোটকে তিনি কতটা গুরুত্ব দিচ্ছেন। তাঁর কথায়, ‘‘উত্তরপ্রদেশে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে মৃতদের অন্তিম সৎকার না করেই দেহ ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে গঙ্গায়। তাদের পরিবার আত্মীয়স্বজন কি আর কোনও দিন বিজেপি-কে সমর্থন করতে পারবে?’’
তৃণমূল নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যাখ্যায়, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধী জোটের নেতৃত্ব নিয়ে মাথা ঘামানো অপ্রাসঙ্গিক করে দিয়েছেন। তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন, নেতৃত্বের বিবাদ সামনে না নিয়ে এসে সমস্ত বিরোধীদের উচিত ঐক্যবদ্ধভাবে বিজেপি-কে হটানোর চেষ্টা করা। উত্তরপ্রদেশে সবাই বিচ্ছিন্ন ভাবে লড়তে চাইছে। সব বিরোধী দলের নেতাই চাইছেন, নেতৃত্বের রাশ তাঁর হাতে থাক। আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের জন্যও বার্তা দিয়েছেন।’’