—ফাইল চিত্র।
দিল্লিমুখী হাজার হাজার কৃষকদের আটকাতে ড্রোন থেকে কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছে পুলিশ। হরিয়ানার সীমান্তে কৃষকদের আটকাতে হয়েছে ধস্তাধস্তিও। মঙ্গলবার সেই ঘটনার ‘তীব্র নিন্দা’ করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্স হ্যান্ডলে একটি দীর্ঘ টুইট করে তিনি লিখেছেন, ‘‘দেশের কৃষকদেরই যদি কাঁদানে গ্যাস দিয়ে আক্রমণ করা হয়, তবে দেশ এগোবে কী করে!’’ কেন্দ্রের সমালোচনা করে মমতা প্রশ্ন তুলেছেন, এই কি তবে ‘বিকশিত ভারত’-এর নমুনা?
কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারকে আক্রমণ করে মমতা লিখেছেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার যে কৃষক এবং শ্রমিকদের যথাযথ সাহায্য করতে পারেনি তার প্রমাণ এই ঘটনা। কৃষকদের তাঁদের মৌলিক অধিকারের কথা বলতে চাওয়ার জন্য আক্রান্ত হতে হচ্ছে। আমি কৃষকদের উপর এই আক্রমণের ঘটনার ‘তীব্র নিন্দা’ করছি।’’
ফসলের ন্যায্য সহায়ক মূল্যের আইনি নিরাপত্তা, কৃষিঋণ মকুব-সহ একাধিক দাবি নিয়ে দিল্লি যাত্রার ডাক দিয়েছেন পঞ্জাব, হরিয়ানার হাজার হাজার কৃষক। মঙ্গলবার সেই অভিযানকেই হরিয়ানার সীমান্তে রুখে দেয় পুলিশ। আকাশপথে ড্রোন থেকে কাঁদানে গ্যাসের সেল ছোড়া হয় কৃষকদের লক্ষ্য করে। সেই ঘটনারই নিন্দা করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা। তিনি লিখেছেন, ‘‘কৃষকদের আন্দোলনকে গায়ের জোরে দাবিয়ে দেওয়ার বদলে বিজেপির উচিত নিজেদের মাত্রাছাড়া অহংবোধকে কিছুটা কমানো। তাদের ক্ষমতার উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং প্রশাসনিক ব্যর্থতা দেশের ক্ষতি করছে।’’
উল্লেখ্য, কৃষক আন্দোলনেক অতীত অভিজ্ঞতা থেকে ‘শিক্ষা’ নিয়ে মঙ্গলবারের অভিযানের আগের দিন থেকেই আন্দোলনকারীদের রুখে দেওয়ার একাধিক পরিকল্পনা করেছিল হরিয়ানা প্রশাসন। বিজেপি শাসিত এই রাজ্যের সরকার তড়িঘড়ি দু’টি বড় স্টেডিয়ামে অস্থায়ী জেল তৈরি করে। কৃষকেরা মিছিল নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার সময় কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হলে তাঁদের আটক করে ওই দু’টি জেলে রাখা হবে বলে সূত্রের খবর।
অন্য দিকে মঙ্গলবার সকাল থেকে কৃষক আন্দোলনের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় দিল্লি মেট্রোর ন’টা স্টেশন। এ ছাড়া পুলিশের তরফেও চালানো হয় বিশেষ তল্লাশি অভিযান। সূ্ত্রের খবর চোরাপথে কৃষকেরা দিল্লিতে ঢুকছে কি না তা দেখতে গাড়িতে গাড়িতে পরীক্ষা করা হচ্ছে কোনও কৃষক প্রতিনিধি রয়েছে কি না। ইতিমধ্য়েই দিল্লিতে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। ১২ মার্চ অর্থাৎ এক মাস পর্যন্ত এই ১৪৪ ধারা জারি থাকবে রাজধানীতে।