গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির মৃত্যুকে ‘জাতীয় রাজনীতির ক্ষতি’ বললেন তৃণমূলনেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার এক্স হ্যান্ডলে তিনি লেখেন, ‘‘শ্রী সীতারাম ইয়েচুরি মারা গিয়েছেন জেনে আমি দুঃখিত। আমি সংসদ সদস্য থাকাকালীন তাঁকে চিনতাম। তাঁর মৃত্যুতে জাতীয় রাজনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হল। আমি তাঁর পরিবার, পরিজন এবং সহকর্মীদের প্রতি আমার সমবেদনা প্রকাশ করছি।’’
ইয়েচুরির দলের বিরুদ্ধে বাংলায় আপসহীন লড়াইয়ের মাধ্যমেই পরিচিতি পেয়েছিলেন মমতা। যদিও গত বছর জাতীয় স্তরে বিজেপি বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ গড়ে ওঠার পরে বেশ কয়েকটি বৈঠকে তাঁরা একসঙ্গে হাজির থেকেছেন। সিপিএমের সাধারণ সম্পাদককে ‘ইয়েচুরিজি’ বলে সম্বোধনও করতে শোনা গিয়েছে তৃণমূলনেত্রীকে। ‘ইন্ডিয়া’র বৃহত্তম দল কংগ্রেসের সাংসদ তথা লোকসভা বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী বৃহস্পতিবার ইয়েচুরির মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে বলেন, ‘‘সীতারাম ইয়েচুরিজি আমার বন্ধু ছিলেন। আমাদের দেশের বিষয়ে তাঁর ছিল গভীর উপলব্ধি। ভারতীয় চেতনার একজন রক্ষক ছিলেন তিনি।’’
বন্ধুকে হারানোর আক্ষেপ জানিয়ে রাহুল বলেন, ‘‘তাঁর সঙ্গে যে দীর্ঘ আলোচনা করতাম, তার অভাব অনুভব করব আমি। শোকের এই মুহূর্তে তাঁর পরিবার, বন্ধু এবং অনুগামীদের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা।’’ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এক্স পোস্টে তাঁর শোকবার্তায় বলেন, ‘‘রাজনৈতিক মতাদর্শের সংঘাত থাকলেও গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকটি বৈঠকে তাঁর সঙ্গে আলাপচারিতার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। তাঁর সারল্য, জনসম্পর্কিত নীতি সম্পর্কে গভীর উপলব্ধি এবং সংসদীয় বিষয়ে গভীর অন্তর্দৃষ্টি ছিল সত্যিই অসাধারণ।’’ সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য তথা কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘বাম আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেতা ছিলেন ইয়েচুরি।’’ সিপিআই সাধারণ সম্পাদক ডি রাজার মন্তব্য, ‘‘ইয়েচুরির শূন্যতা অনুভূত হবে বাম এবং গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে।’’ অন্য দিকে, বিজেপির সহযোগী টিডিপির প্রধান তথা অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডুর মন্তব্য, ‘‘ভারতীয় রাজনীতিতে সবচেয়ে সম্মাননীয় কণ্ঠস্বর হয়ে উঠেছিলেন ইয়েচুরি।’’