Mamata Banerjee

ক্ষমতায় এলে লক্ষ্মীর ভান্ডারের মতো প্রকল্প তৈরি লক্ষ্য, মেঘালয়ে কার্ড বিলি মমতার

নিরাপত্তার কারণে শৈল শহর এ বার সে ভাবে ঘোরা হয়নি মমতার। তাই বুধবার সকালে শিলং থেকে ফেরার পথে বিমানবন্দরেই টুকটাক কেনাকাটা সারেন তিনি।

Advertisement

রাজীবাক্ষ রক্ষিত

শিলং শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২২ ০৭:৫৩
Share:

দলের নেতাদের কাছে বিদায় নিচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার শিলংয়ে। নিজস্ব চিত্র

মেঘ-রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় এলে মহিলাদের হাতে থাকা গোলাপি কার্ডটায় মাসে মাসে জমা পড়বে হাজার টাকা! মেঘালয়ে এই প্রতিশ্রুতি তৃণমূল কংগ্রেসের। ঠিক যে ভাবে পশ্চিমবঙ্গে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ চালু করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। হাতে নগদ জোগানোর এমন প্রতিশ্রুতি তৃণমূল দিয়েছিল গোয়ায় বিধানসভা ভোটে লড়তে গিয়েও। যদিও প্রায় সমস্ত দলের ভোটে জিততে এমন ‘আকাশছোঁয়া’ প্রতিশ্রুতি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সরগরম রাজনীতিও।

Advertisement

মেঘালয়ে ‘ভোটের দস্তুর’ মেনে নগদ বিলির রাস্তায় হাঁটেনি তৃণমূল, বরং মেয়েদের হাতে-হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে গোলাপি ‘উই কার্ড’। তাতে বছরে ১২ হাজার টাকার আশ্বাস। গত কাল মেঘালয়ে এই ‘উই কার্ড’ উদ্বোধন করেছেন তৃণমূলের চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বুধবার সকালে শহর ছাড়ার আগেই সেই ‘উই কার্ড’ তথা ‘মেঘালয় ফিনান্সিয়াল ইনক্লুশন ফর উইমেন এমপাওয়ারমেন্ট স্কিম’-এ দু’ হাজারের বেশি মহিলার নাম নথিভুক্ত হয়েছে।

শুধু তৃণমূল নয়, এই কৌশলে পিছিয়ে নেই কোনও দলই। গুজরাতে এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, যিনি আবার বিনামূল্যের সুবিধা ঘোষণার বিরুদ্ধে কথা বলেন। পঞ্জাব-হিমাচলে ভোটে জিতলে মাস কাবারি টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও।

Advertisement

তার পরেও তৃণমূলের ‘উই কার্ড’ গ্রাহকদের সংখ্যাটা বাড়ছে। কারণ তৃণমূলের স্বেচ্ছাসেবকেরা এ বার কার্ড নিয়ে হাজির হচ্ছেন বাড়ি-বাড়ি, টাকার আশ্বাস দিয়ে ভোট চাইতে। ওই কার্ড তুলে দেওয়া হচ্ছে গৃহবধূ, একা মা, মহিলা কর্মী, স্বামীহারা, অবিবাহিতা-সহ সকলের হাতে। রাজ্য সভাপতি চার্লস পিংরোপের কথায়, “২৪ ঘণ্টায় দু’হাজারের বেশি মহিলা তৃণমূলের প্রতিশ্রুতিতে আস্থা রেখে এই কার্ড-এ নাম নথিভুক্ত করেছেন। এই সাড়া আশাতীত।”

নিরাপত্তার কারণে শৈল শহর এ বার সে ভাবে ঘোরা হয়নি মমতার। তাই বুধবার সকালে শিলং থেকে ফেরার পথে বিমানবন্দরেই টুকটাক কেনাকাটা সারেন তিনি। হোটেল ছাড়ার আগে তাঁর দলের বিরোধী দলনেতা মুকুল সাংমা, রাজ্য সভাপতি চার্লস ও সহ-সভাপতি জেমস সাংমার সঙ্গে ভবিষ্যৎ রণকৌশল নিয়ে বৈঠক করেন মমতা ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক পরে টুইট করেন, ‘আপনাদের ভালবাসা ও সমর্থনে আমি মুগ্ধ। দু’দিনের সফরে বিভিন্ন স্তরের মানুষের সঙ্গে মেশার সুযোগ হল। আমাদের আদর্শ ও দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি তাঁদের ভরসা দেখে মেঘালয়ের উন্নয়নের জন্য উঠেপড়ে কাজ করার অনুপ্রেরণা পেলাম।’

এ দিকে মমতার সফরের পাঁচ দিনের মধ্যেই, ১৮ ডিসেম্বর এখানে আসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উপলক্ষ যদিও উত্তর-পূর্ব পরিষদের সূবর্ণ জয়ন্তী।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement