সীতারাম ইয়েচুরি এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।— ফাইল চিত্র।
রাজনৈতিক ভাবে তাঁরা আলাদা মেরুতে। কিন্তু, ভোট পরবর্তী ত্রিপুরার ঘটনাপ্রবাহ দু’জনকেই এনে ফেলল একই বিন্দুতে। তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সিপিএম পলিট্যব্যুরো সদস্য সীতারাম ইয়েচুরি।
ভোটের ফল ঘোষণা হতে না হতেই ত্রিপুরা যেন হিংসার কবলে। অভিযোগ, বেছে বেছে সিপিএম কর্মীদের উপর হামলা চালানো হচ্ছে। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বেশ কয়েকটি দলীয় কার্যালয়। বুলডোজার দিয়ে যে ভাবে দক্ষিণ ত্রিপুরার বিলোনিয়ায় লেনিন-মূর্তি ভেঙে দেওয়া হয়েছে, তাতে নিন্দার ঝ়ড় উঠেছে দেশ জুড়ে।
সিপিএম নেতা হিসেবে সীতারাম ইয়েচুরি যে এর নিন্দা করবেন, তা স্বাভাবিক। কিন্তু সিপিএমের পাশে দাঁড়িয়ে মঙ্গলবার যে ভাবে বিজেপি-র বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন মমতা, তাকে বিরল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বাঁকুড়ার প্রশাসনিক সভায় তিনি বলেন, ‘‘লেনিন-মূর্তি ভাঙার ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। এটা কখনই সঠিক কাজ হতে পারে না।’’
আরও পড়ুন, ত্রিপুরা জুড়ে সন্ত্রাসের আবহ, লেনিনের মূর্তি ভাঙতে বুলডোজার
অন্য দিকে, চড়া সুরে আক্রমণ শানিয়েছেন সীতারাম ইয়েচুরিও। এ দিন কলকাতার আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, ‘‘ত্রিপুরা দখলের জন্য মানি পাওয়ার ব্যবহার করা হয়েছে। বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তির সঙ্গে হাত মিলিয়েছে বিজেপি। ত্রিপুরায় যে ভাবে সিপিএমের উপর হামলা চলছে,তা সভ্যতার কলঙ্ক।’’
আরও পড়ুন, চর্চায় তিপ্রাল্যান্ড, বাঘের পিঠে বিজেপি
সম্প্রতি সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে কংগ্রেস ও বিজেপি বিরোধী তৃতীয় ফ্রন্ট গড়ার চেষ্টায় নেমেছেন মমতা বন্দ্যোপাধায়। এ রকম পরিস্থিতিতে বিজেপিকে নিশানা করে তিনি যে ভাবে সিপিএমের পাশে দাঁড়ালেন, তা বিশেষ তাত্পর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
যদিও জোট নিয়ে এখনই সরাসরি কোনও মন্তব্য করতে চাইছেন না সীতারাম ইয়েচুরি। তাঁর সাফ কথা, ‘‘জোটের বিষয়টা ভোটের সময় ঠিক হবে। তবে ধর্মীয় বিভাজন রুখতে ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিগুলোর একজোট হওয়া দরকার।’’