Malnutrition

এক দশকে অপুষ্টি কম ভারতে, মত রাষ্ট্রপুঞ্জের

রাষ্ট্রপুঞ্জের খাদ্য ও কৃষি সংগঠন (এফএও), আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিল (আইএফএডি), ইউনিসেফ এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যৌথ ভাবে সমীক্ষা চালিয়ে রিপোর্টটি তৈরি করেছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

রাষ্ট্রপুঞ্জ শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০২০ ০২:২৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

গত এক দশকে ভারতে অপুষ্টি ও অনাহারে ভুগতে থাকা লোকের সংখ্যা অন্তত ৬ কোটি কমেছে। সোমবার রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রকাশিত একটি রিপোর্টে উঠে এসেছে এই তথ্য। অপুষ্টির পরিসংখ্যানে ভারতের অবস্থা আশাপ্রদ হলেও বিশ্বের ছবিটা উল্টো। ওই সমীক্ষা অনুযায়ী, ২০১৯ সালে বিশ্বে অনাহার ও অপুষ্টিতে ভোগা মানুষের সংখ্যা প্রায় ৬৯ কোটি। যা ২০১৮ সালের তুলনায় অন্তত ১ কোটি বেশি।

Advertisement

রাষ্ট্রপুঞ্জের খাদ্য ও কৃষি সংগঠন (এফএও), আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিল (আইএফএডি), ইউনিসেফ এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যৌথ ভাবে সমীক্ষা চালিয়ে রিপোর্টটি তৈরি করেছে। এই রিপোর্টে উঠে এসেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। ভারতে অপুষ্টির হার কমার খবর যেমন আশাব্যঞ্জক, পাশাপাশি কিছু সমীক্ষার ফল উদ্বেগজনকও বটে। যেমন, গত কয়েক বছরে এ দেশে শিশুদের সুষম বৃদ্ধির হার কমেছে। ওবেসিটির হার প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে বেড়েছে। অন্য দিকে, মহিলাদের মধ্যে রক্তাল্পতার হার বাড়ায় গড় মাতৃত্বের বয়স কমেছে। আবার জন্মের পর থেকে পাঁচ মাস বয়স পর্যন্ত শুধুমাত্র মায়ের দুধ খাওয়া শিশুর সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে গত এক দশকে। সমীক্ষকদের মতে, ভারত ও চিন, এই দু’দেশেই অপুষ্টির হার কমেছে। এ থেকেই বোঝা যাচ্ছে গত এক দশকে এশিয়ার এই দুই দেশের অর্থনীতি আরও মজবুত হয়েছে, বৈষম্য কমেছে এবং আরও বেশি মানুষ অত্যাবশ্যক পরিষেবা এবং সুবিধা পাচ্ছেন।

তবে করোনার জেরে চলতি বছরে জোর ধাক্কা খেয়েছে বিশ্বের অর্থনীতি। যার ফলে আগামী দিনে খাদ্য-সঙ্কট ও দারিদ্র দুই’ই তীব্রতর হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। আর তা হলে ২০২০ সালের শেষে অপুষ্টি এবং অনাহারে ভোগা মানুষের সংখ্যা অন্তত আরও ১৩ কোটি বাড়বে। আজ অপুষ্টিতে ভোগা মানুষের সংখ্যা এশিয়ায় সবচেয়ে বেশি হলেও আফ্রিকায় অপুষ্টির হার দ্রুত হারে বাড়ছে। গবেষকদের আশঙ্কা, আগামী দিনে অনাহার-ক্লিষ্ট মহাদেশগুলির শীর্ষে থাকবে আফ্রিকা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement