সংসদের উচ্চকক্ষের বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়্গে। ফাইল চিত্র।
রাজ্যসভার চেয়ারম্যান শাসক দলের প্রতি আনুগত্য বা পক্ষপাতিত্ব দেখাতে পারেন না বলে আজ জগদীপ ধনখড়কে চিঠি লিখলেন সংসদের উচ্চকক্ষের বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়্গে। তাঁর বক্তব্য, রাজ্যসভার চেয়ারম্যান নিরপেক্ষ হবেন, তিনি সকলকে সমান চোখে দেখবেন, এটাই কাম্য।
নাম না করে আজ রাজ্যসভায় রাহুল গান্ধীর ‘বিদেশে গিয়ে সংসদের অবমাননা’-র নিন্দা করেছেন উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ধনখড়। বিজেপি রাহুলের ক্ষমাপ্রার্থনার দাবি তুলে সংসদে হাঙ্গামা করেছে। রাহুল তখন লোকসভার সাংসদ হলেও রাজ্যসভার নেতা পীযূষ গয়াল সংসদের উচ্চকক্ষেও ওই কংগ্রেস নেতার ক্ষমাপ্রার্থনার দাবি তুলেছিলেন। তা নিয়ে কংগ্রেসের তরফে খড়্গে নিয়মের প্রশ্নে আপত্তি বা ‘পয়েন্ট অব অর্ডার’ তুলেছিলেন। যুক্তি ছিল, গয়াল রাজ্যসভার নেতা হিসেবে লোকসভার সাংসদ রাহুলের (তখনও সাংসদপদ খারিজ হয়নি) বিরুদ্ধে বলতে পারেন না। আজ ধনখড় সেই আপত্তি খারিজ করেছেন। সেই সঙ্গে রাহুলের নাম না করে ইঙ্গিতে তাঁর সমালোচনা করেন।
রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বলেন, সাংসদেরা সংসদে মন্তব্যে আইনি রক্ষাকবচ পেয়ে থাকেন। এই বাকস্বাধীনতার অধিকারের সঙ্গে দায়বদ্ধতাও থাকে। এই অধিকারের সুযোগ কাজে লাগিয়ে ইচ্ছেমতো অভিযোগ তুলে, মিথ্যে কাহিনি খাড়া করলে তার ফল গুরুতর হতে পারে। ধনখড় এ নিয়ে সংসদের বাইরেও সরব হয়েছিলেন। আজ রাজ্যসভায় তিনি কোনও রকম কাগজ ছাড়া কাজ শুরু করেছেন। ট্যাব থেকে খড়্গে আপত্তি খারিজের নির্দেশ পড়ে তিনি বলেন, ‘‘গণতন্ত্রের মন্দিরের পবিত্রতা নষ্ট হতে দেওয়া যায় না। সাংসদদের অধিকার সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে অপমানজনক মন্তব্য করে, ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে সংসদকে খাটো করার অধিকার দেয় না।’’ ধনখড় বলেন, গয়াল অভিযোগ তুললেও কারও নাম করেনি। নিজের অভিযোগের পক্ষে ভিডিয়ো রেকর্ডিংয়ের প্রমাণ দিয়েছেন। এর পরেই খড়্গে ধনখড়কে চিঠি লিখে পাল্টা প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, গণতন্ত্র নিয়ে প্রশ্ন তুললেই তা দেশদ্রোহ হয়ে যায় না। কোনও সাংসদকে নিজের পক্ষে বলার সুযোগ না দিয়ে কাঠগড়ায় তোলা যায় না। গয়াল রাহুলের ক্ষেত্রে সেটাই করেছেন। তা সত্ত্বেও রাজ্যসভার চেয়ারম্যান তা আপত্তিকর বলে মনে করেননি।