ঘটনাস্থলে তদন্তকারীরা।
তীর্থে যাওয়ার পথে মিনিবাস ও ট্রাকের দুর্ঘটনায় অন্ধ্রপ্রদেশে মৃত্যু হল ১৪ জনের। যদিও অদ্ভুতভাবে বেঁচে গিয়েছে দুর্ঘটনাগ্রস্ত মিনিবাসের যাত্রী ৪টি শিশু। দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া বাসের ভিতর থেকে বাকি যাত্রীদের দেহ যন্ত্রের সাহায্যে কেটে বের করতে হলেও ওই ৪ শিশুকে জীবন্ত উদ্ধার করা গিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে এদের মধ্যে ২ জন শিশুর সঙ্কট এখনও কাটেনি।
অন্ধ্রপ্রদেশের কুর্নুল জেলার জাতীয় সড়কের উপর এই দুর্ঘটনা ঘটে। কুর্নুল থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে মদপুরম। তারই লাগোয়া বেলদ্রুতি মণ্ডল গ্রামের জাতীয় সড়কে ১৮ জন তীর্থযাত্রীকে নিয়ে দুর্ঘটনায় পড়ে মিনিবাসটি। প্রথমে প্রবলগতিতে ধাক্কা দেয় রাস্তার ডিভাইডারে। তার পর উল্টে গিয়ে পড়ে রাস্তার অন্য দিকে। ঠিক সেই সময়েই বিপরীত দিক থেকে আসছিল একটি ট্রাক। দুর্ঘটনাগ্রস্ত মিনিবাসটিকে সজোরে ধাক্কা দেয় ট্রাকটি। মুহূর্তে দুমড়ে মুচড়ে যায় ওই মিনিবাস। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। বাসের ভিতর থেকে মৃতদেহগুলিকে বের করার জন্য যন্ত্রের সাহায্য নিতে হয় তাদের। ঘটনায় ১ জন শিশু-সহ ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা। তবে ওই বাসের ভিতর থেকে ৪ জন শিশুকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা গিয়েছে। ওই ৪ শিশুর মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন কুর্নুলের পুলিশ প্রধান কে ফকিরাপ্পা।
অন্ধ্রপ্রদেশের চিত্তুর জেলার মদনাপল্ল থেকে রাজস্থানের আজমের দরগার উদ্দেশে রবিবার সকালেই রওনা হয়েছিল বাসটি। চিত্তুর থেকে আজমেরের মধ্যে কোনও রেল সংযোগ না থাকায় এখানকার তীর্থযাত্রীরা সাধারণত ১৯০০ কিলোমিটার বাসযাত্রাই করে থাকেন। দুর্ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে টুইট করা হয়েছে। অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ওয়াই এস জগনমোহন রেড্ডিও দুর্ঘটনায় শোক জ্ঞাপন করেন।
২ দিন আগেই বিশাখাপত্তনমে পর্যটকদের বাস উল্টে ২০০ ফুট গভীর খাদে পড়ে যায়। সেই ঘটনায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। পুলিশ তদন্ত করে দেখছে, কুর্নুলের ঘটনায় মিনিবাসের ড্রাইভার কোনও ভাবে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন কি না বা বাসটির টায়ার ফেটে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে কি না। মৃতদের চিহ্নিত করতে আধার কার্ডের ব্যবহার করে তদন্ত চলছে।