নূপুর শর্মা, মহম্মদ জুবের এবং মহুয়া মৈত্র।
মহম্মদ জুবেরকে নিয়ে যে ‘মশলা মাখিয়ে রান্না’র পরিকল্পনা চলছে, তাঁকে চার দিন হেফাজতে পেলে, সেই ‘রান্নার বাকি উপকরণ’ও হাতে পেয়ে যাবে দিল্লি পুলিশ! জুবেরের পুলিশ হেফাজতের মেয়াদ বৃদ্ধি প্রসঙ্গে বললেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র।
মঙ্গলবারই দিল্লির আদালত জুবেরের হেফাজতের মেয়াদ আরও চার দিন বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে। এই জুবেরই বিজেপির নিলম্বিত মুখপাত্র নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্য প্রকাশ্যে এনেছিলেন প্রথম। মহুয়া সে কথা মনে করিয়ে দিয়েই বলেছেন, ‘‘জুবের পুলিশ হেফাজতে, আর ওদিকে নূপুর শর্মা বহাল তবিয়তে বাড়ি বসে অপেক্ষা করছেন, সুযোগ বুঝে বিজেপি তাকে দলে ফিরিয়ে আনবে বলে।’’
বিতর্কিত টুইট মামলায় গ্রেফতার অল্ট নিউজের প্রধান জুবেরকে অবশ্য নূপুরের বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য গ্রেফতার করা হয়নি। তাঁকে ২০১৮ সালের একটি আপত্তিকর টুইটের জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ। যদিও নূপুরের ঘটনাটির পরই জুবেরের গ্রেফতারি প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। এই পদক্ষেপের সমালোচনাও করেছেন বিরোধী দলের সাংসদ এবং নেত্রীরা। কিন্তু মহুয়ার বক্তব্য, জুবেরের গ্রেফতারি নিয়ে এই প্রতিবাদ শুধু বিরোধী দলের সদস্যরা কেন করবেন? কেন সাধারণ মানুষ বা যে কারণ দেখিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে তার সংশ্লিষ্ট মহল থেকে কেন আপত্তি উঠছে না?
কারণ অবশ্য জানিয়েছেন মহুয়া নিজেই। তিনি বলেছেন, জুবেরের ঘটনাটির পর এ বার সত্যিই দেখার সময় এসেছে, এই গণতন্ত্রের মূল ভিত্তিতে কোনও খামতি রয়ে গিয়েছে কি না! দেশের মানুষের কাছে কি ঠিক তথ্য পৌঁছচ্ছে না? না কি ভুল তথ্য প্রচার করা হচ্ছে! উল্লেখ্য, এর আগেও জুবেরের সমর্থনে মহুয়া বলেছিলেন, দিল্লি পুলিশ তাদের ‘সাহেব’দের তুষ্ট করতে একেবারে পিছন দিকে হেলে পড়েছে।