সংস্কৃতি মন্ত্রী মহেশ শর্মা।
চাইছেন অথচ পাচ্ছেন না নিজস্ব নিবাস। ল্যুটেনস্ দিল্লিতে একটি প্রশস্ত লনওয়ালা বাংলো স্বপ্নই থেকে গেল নয়ডাবাসী কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী মহেশ শর্মার।
একটি বাংলো তাঁর জন্য বরাদ্দ হচ্ছে। কিন্তু অদৃষ্টের পরিহাস, কোনও না কোনও প্রাক্তন বা ভাবী রাষ্ট্রপতির জন্য তাঁকেই ত্যাগ স্বীকার করতে হচ্ছে।
ডাউনিং স্ট্রিটের ১০ নম্বর যেমন পৃথিবী বিখ্যাত, ঠিক সে ভাবে ১০ নম্বর রাজাজি মার্গ দুনিয়াখ্যাত নয়। কিন্তু মন্ত্রী হওয়ার পরে বিরল ডুপ্লে প্যাটার্নের এই বাসভবনটি বরাদ্দ হয়েছিল মহেশ শর্মার জন্য। কিন্তু পরে বলা হয়, এ পি জে আব্দুল কালাম রাষ্ট্রপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। তাঁর জন্য একটি বাংলো চাই। নিরাপত্তা বাহিনী বলছে, কালামের জন্য এই বাড়িটিই উপযুক্ত। ফলে কালাম ওই বাংলোটিতেই চলে গেলেন। সে যাত্রা মহেশের বাংলো প্রাপ্তি হল না।
কালাম প্রয়াত হওয়ার পরেই ফের বাসভবনটি চাইলেন মহেশ। মন্ত্রী ও সাংসদদের বাংলো বণ্টনের দায়িত্ব সংসদের হাউস কমিটির। বেঙ্কাইয়া নায়ডু নগরোন্নয়ন মন্ত্রী। তিনি মহেশ শর্মার জন্য এই বাসভবনটিকে ছাড়পত্র দিয়ে দেন। ইতিমধ্যে খবর আসে, প্রণব মুখোপাধ্যায় দ্বিতীয় বারের জন্য রাষ্ট্রপতি হচ্ছেন না। তাঁর জন্য বড় বাংলো প্রয়োজন। ফলে ১০ নম্বর রাজাজি মার্গ তাঁরই প্রাপ্য।
প্রণববাবুর জন্য বাড়িটির সংস্কারের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। সংস্কৃতি মন্ত্রী নতুন বাড়ির জন্য আবেদন করলেন। আবার ১০ নম্বরি! ১০ নম্বর আকবর রোড। ১১ নম্বর আকবর রোডে থাকেন অমিত শাহ। ১০ নম্বরটিতে থাকতেন মনোহর পর্রীকর। তিনি এখন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী। ফলে ফাঁকা হয়ে গিয়েছে বাড়িটি। অতএব এখানেই যাই।
মহেশের জীবনে ফের বিনামেঘে বজ্রপাত! রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী রামনাথ কোবিন্দ নর্থ অ্যাভিনিউয়ের যে ফ্ল্যাটটিতে থাকতেন, সেটি দোতলায় ছোট ফ্ল্যাট। প্রাক্তন সাংসদ হিসেবে ফ্ল্যাটটি ছ’মাস ভাড়ায় রাখা যায়। তা-ই রেখেছিলেন তিনি। নিরাপত্তার কারণে কোবিন্দ এখন বিহার নিবাসে। অমিত শাহ তাঁকে পরামর্শ দিয়েছেন, আপনি ১০ নম্বর আকবর রোডে থাকুন। এখান থেকেই কালো লিমুজিনে চেপে রাষ্ট্রপতি ভবনে যাবেন! প্রস্তাব মেনে নিয়েছেন কোবিন্দ।
বেচারা মহেশ শর্মা!