নিট কেলেঙ্কারির প্রতিবাদ। ছবি: পিটিআই।
পাঁচ লাখ টাকা দিলেই সর্বভারতীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকা (নিট) পরীক্ষায় পাওয়া যাবে ৬৫০ নম্বর। এমনই প্রতিশ্রুতি দিয়ে বেশ কিছু পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছে মহারাষ্ট্রের ধৃত দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। কিছু দিন আগেই দুই শিক্ষককে লাতুর এবং বীড় থেকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। ওই দুই শিক্ষককে জেরা করে চাঞ্চল্যকর তথ্য এল পুলিশের হাতে। এই ঘটনায় আরও কয়েক জন শিক্ষকও সন্দেহের তালিকায় রয়েছেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত দুই শিক্ষক হলেন জলিল পাঠান এবং সঞ্জয় যাদব। এই দু’জনের কাছ থেকে নিটের ১৪টি অ্যাডমিট কার্ড মিলেছে। যার মধ্যে একটি আবার পটনার একটি স্কুলের। ফলে নিটের প্রশ্নফাঁস কাণ্ডে বিহারের সঙ্গে এই দুই শিক্ষকের কোনও যোগসূত্র আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা শুরু হয়েছে।
তদন্তকারী এক আধিকারিক জানিয়েছেন, নিটের পরীক্ষায় ৬৫০ পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এই দুই শিক্ষক। তার জন্য পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা করে চাওয়া হয়েছিল। অগ্রিম হিসাবে ওই পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা করে নেওয়াও হয়। সঙ্গে এই প্রতিশ্রুতিও দেন দুই শিক্ষক যে, পরীক্ষায় ৬৫০ না পেলে টাকা ফেরত দেওয়া হবে। কিন্তু বাস্তবে সেই টাকা ফেরত দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ১৪ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাঁদের মধ্যে কেউই পরীক্ষায় ৬০০-র উপরে নম্বর পাননি। কথামতো কয়েক জনকে টাকাও ফেরত দিয়েছিলেন ওই দুই শিক্ষক। কিন্তু বাকিরা আর টাকা ফেরত পাননি বলেই অভিযোগ। নিটের প্রশ্নফাঁস নিয়ে যখন গোটা দেশে শোরগোল এবং একের পর এক গ্রেফতারি চলছে, এমন আবহে এই দুই শিক্ষকের ভূমিকাও বেশ সন্দেহজনক বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।