নীতীশ কুমারের দল ঝাড়খণ্ডে একাই লড়বে।—ছবি পিটিআই।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেছিলেন, ফের বিজেপি-শিবসেনা সরকার হচ্ছে মহারাষ্ট্রে। কিন্তু একশোর বেশি আসন পেয়েও ১৯ দিন খালি হাতে বসে থেকেছে বিজেপি। বিজেপি সভাপতি অমিত শাহকে কার্যত ‘মিথ্যাবাদী’ বলে তাদের সঙ্গে সরকারই গড়েননি উদ্ধব ঠাকরে। বেরিয়ে এসেছেন মোদী মন্ত্রিসভা থেকেও। শরিকের ‘দাদাগিরি’ দেখে উৎসাহিত অন্যরাও।
আর এক ভোটমুখী রাজ্য ঝাড়খণ্ডেও বিজেপির সঙ্গ ছাড়াই একাই লড়ার সিদ্ধান্ত নিল এনডিএর শরিকেরা। এর মধ্যে রয়েছে রামবিলাস পাসোয়ানের লোকজনশক্তি পার্টিও। সুদেশ মেহতার ‘অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্টস ইউনিয়ন’ও (আজসু) বিজেপির শরিক দল। বিজেপির থেকে চেয়েছিল ১৯টি আসন। কিন্তু বিজেপি নেতৃত্ব ৯টির বেশি দিতে রাজি হননি। ফলে একাই ভোটে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আজসু। বিজেপির সঙ্গে কোনও আলোচনা না করেই ইতিমধ্যে ১২ টি আসনে নিজেদের প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছে তারা। যার মধ্যে তিনটি আসনে বিজেপি আগেই প্রার্থী ঘোষণা করেছে।
পাসোয়ান দলের ভার এখন ছেলে চিরাগের হাতে তুলে দিয়েছেন। চিরাগও আজ ঘোষণা করেন, রাজ্যে একাই লড়বেন। প্রার্থী দেবেন ৫০ টি আসনে। গত বার অবশ্য মাত্র একটিই আসনে লড়ে হেরেছিল পাসোয়ানের দল। এ বার বিজেপির থেকে ৬ টি আসন চেয়েও পাননি। কিন্তু যে ৫০টি আসনে লড়ার ঘোষণা করছেন, তাতে সব ক’টিতে প্রার্থী পাওয়া যাবে কি না, তা নিয়েও সংশয়ে আছে দল।
এর আগে নীতীশ কুমারের দল জানিয়ে দিয়েছে, ঝাড়খণ্ডে তারা একাই লড়বে। দলের নেতা কে সি ত্যাগী বলেন, ‘‘ঝাড়খণ্ডে এখন এনডিএ বলে কিছুই নেই। বিজেপির সঙ্গে কোনও সমন্বয়ও আর হচ্ছে না। সব শরিক দলই আলাদা লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বড় দল হয়েও বিজেপি বড় মনের পরিচয় দেখায়নি। শরিক দলের সঙ্গে আলোচনাও করতে চায়নি।’’
বিজেপির শরিক দলের নেতাদের মতে, মহারাষ্ট্রে উদ্ধব অমিত শাহের দম্ভ চূর্ণ করতে চেয়েছেন। মহারাষ্ট্রে গতিবিধি কোন দিকে গড়ায়, তার উপরে নজর রাখা হচ্ছে। বিজেপি বিপাকে পড়লে অন্য শরিকরাও আরও চেপে বসবে নরেন্দ্র মোদীর দলের উপরে। লোকসভা ভোটে তিনশোর বেশি আসন পেয়ে নরেন্দ্র মোদী ফের ক্ষমতায় এসেছেন। মাত্র ছয় মাস হয়েছে। বিরোধীরা এখনও সে ভাবে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি। কিন্তু শিবসেনা বাকি শরিকদের সাহস জুগিয়েছে।