ফাইল চিত্র।
বিদ্রোহী শিবসেনা বিধায়কদের নিয়ে একনাথ শিন্ডে তখন অসমের গুয়াহাটির রিসর্টে। মুম্বইয়ে বসে উদ্ধব ঠাকরের ঘনিষ্ঠ নেতা সঞ্জয় রাউত বিদ্রোহী নেতাকে নিশানা করে বলেছিলেন, ‘‘ক্ষমতা থাকলে বালাসাহেব ঠাকরের নাম ব্যবহার না করে নিজের বাবার নামে দল করুন।’’ শিন্ডের বিদ্রোহের জেরে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রিত্ব হাতছাড়া হওয়ার পরে এ বার শিন্ডের উদ্দেশে উদ্ধব বললেন, ‘‘নিজের বাবা-মায়ের ছবি সামনে রেখে ভোটে লড়ুন।’’
শিবসেনার মুখপত্র ‘সামনা’য় সাক্ষাৎকারে উদ্ধব বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে ‘পচা পাতার’ সঙ্গেও তুলনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘পচা পাতারা পড়ে গিয়েছে। এ বার গাছে নতুন পাতা গজাবে।’’ পাশাপাশি তাঁর মন্তব্য, ‘‘মুখ্যমন্ত্রিত্ব চলে গিয়েছে বলে আমার কোনও অনুশোচনা নেই। কিন্তু আমার নিজের লোকেরা বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। এর আগে আমি যখন অস্ত্রোপচার থেকে সেরে উঠছি, তখনও তারা আমার সরকারকে ফেলার চেষ্টা করছিল।’’
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছিনিয়ে নেওয়ার পরে উদ্ধবের হাত থেকে এ বার শিবসেনার দখলও ছিনিয়ে নেওয়ার যুদ্ধে নেমেছেন শিন্ডে। লড়াইয়ের ফল বলছে, প্রাথমিক ভাবে সাফল্যও পেয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্র বিধানসভা এবং লোকসভায় শিন্ডেগোষ্ঠীই ‘শিবসেনা’ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, পরিকল্পনা মাফিক প্রয়াত বালাসাহেব ঠাকরের রাজনৈতিক উত্তরাধিকারকে ‘পাখির চোখ’ করেছেন তিনি। নির্বাচন কমিশনে ‘শিবসেনা’ হিসেবে স্বীকৃতি পেলে শিন্ডেগোষ্ঠীর হাতেই যাবে দলের নির্বাচনী প্রতীক ‘তির-ধনুক’। তবে আপাপত, তার সম্ভাবনা কম বলেই মনে করা হচ্ছে। বরং যুযুধান দুই গোষ্ঠীকে সময় দিতে সাময়িক ভাবে ভোটে ‘তির-ধনুক’ ব্যবহার স্থগিত রাখার নির্দেশ দিতে পারে কমিশন। সে ক্ষেত্রেও বড় ধাক্কা হবে উদ্ধবের।