Maharashtra Political Crisis

ঝুলেই রইল ‘মহা-সঙ্কট’! উদ্ধব বনাম শিন্ডেদের মামলার রায় সংরক্ষিত রাখল শীর্ষ আদালত

বর্তমান মামলাগুলি শিন্ডেগোষ্ঠীর বিধায়কদের পদ খারিজের দাবি এবং তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধবকে তৎকালীন রাজ্যপাল কোশিয়ারির আস্থাভোটের নির্দেশ সংক্রান্ত।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২৩ ১৭:১৭
Share:

উদ্ধব ঠাকরে বনাম একনাথ শিন্ডের গোষ্ঠীর মামলায় রায় সংরক্ষিত রাখল সুপ্রিম কোর্ট। ফাইল চিত্র।

উদ্ধব ঠাকরে বনাম একনাথ শিন্ডে গোষ্ঠীর আইনি লড়াইয়ের ফল আপাতত অমীমাংসিত রইল সুপ্রিম কোর্টে। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ, প্রায় ৯ মাসে শিবসেনার যুযুধান দুই শিবিরের দায়ের করা মামলাগুলির রায় সংরক্ষিত রাখার কথা জানিয়েছে।

Advertisement

গত ৯ মাসে মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আমূল বদলে গিয়েছে। শিন্ডেদের বিদ্রোহের জেরে বিধানসভায় গরিষ্ঠতা হারিয়ে ইস্তফা দিতে হয়েছে উদ্ধবকে। এর পর নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে তাঁর বাবা বালাসাহেবের গড়া দল শিবসেনার ‘নাম এবং নির্বাচনী প্রতীক’ ব্যবহারের অধিকার পেয়েছে শিন্ডে গোষ্ঠী। দু’টি ক্ষেত্রেই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েও নিরাশ হতে হয়েছিল উদ্ধবকে।

Advertisement

বর্তমান মামলাটি শিন্ডেগোষ্ঠীর বিধায়কদের পদ খারিজের দাবি এবং উদ্ধবকে রাজ্যপালের আস্থাভোটের নির্দেশ সংক্রান্ত। গত জুনে উদ্ধবের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন শিন্ডে-সহ সংখ্যাগরিষ্ঠ শিবসেনা বিধায়ক। সে সময় শিন্ডে-সহ বিদ্রোহী শিবসেনা বিধায়কদের পদ খারিজের দাবিতে উদ্ধব শিবির বিধানসভার ডেপুটি স্পিকারের (তৎকালীন কার্যনির্বাহী স্পিকার) কাছে আবেদন জানিয়েছিল। কিন্তু বাদ সাধে ২০১৬ সালের সুপ্রিম কোর্টের একটি রায়। তাতে বলা হয়েছিল, ‘‘স্পিকারকে পদচ্যুত করার জন্য প্রস্তাব জমা পড়লে, দলত্যাগী বিধায়কেরা দলত্যাগ বিরোধী আইনের আওতায় পড়বেন কি না, তা তিনি ঠিক করতে পারবেন না।”

বুধবার এই মামলার শুনানিপর্বে প্রধান বিচারপতি তাঁর পর্যবেক্ষণে মহারাষ্ট্রের তৎকালীন রাজ্যপাল ভগৎ সিংহ কোশিয়ারির ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। চন্দ্রচূড় বলেন, “ধরা যাক কোনও বিষয়ে একটি দলের অন্দরে মতবিরোধ হল। তখন কি সেই দলের নেতাকে (এ ক্ষেত্রে উদ্ধব) আস্থাভোট নেওয়ার কথা বলবেন রাজ্যপাল?” এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, রাজ্যপালকে মনে রাখতে হবে, তিনি ঠিক ভাবে বিবেচনা না করে আস্থাভোটের নির্দেশ দিলে নির্বাচিত সরকারের স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠে যেতে পারে। কুর্সি এবং দলের দখল হারিয়ে শীর্ষ আদালতের এই পর্যবেক্ষণেই আশা দেখছে উদ্ধব শিবির।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement