Ajit Pawar

অজিতদের বিরুদ্ধে দলের শৃঙ্খলা ভাঙার অভিযোগ, নয় বিধায়কের পদ খারিজ করার দাবি এনসিপির

রবিবার গভীর রাতে একটি সাংবাদিক বৈঠক করে এনসিপির রাজ্য সভাপতি জয়ন্ত পাতিল জানান, দলের শৃঙ্খলা রক্ষাকারী কমিটি অজিত-সহ নয় বিধায়কের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার প্রস্তাবে সিলমোহর দিয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

মুম্বই শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৩ ০৮:৫৩
Share:

অজিত পওয়ার (বাঁ দিকে) এবং শরদ পওয়ার (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

দলের সর্বভারতীয় সভাপতি হিসাবে ভাইপো অজিত পওয়ার-সহ নয় বিদ্রোহী বিধায়কের বিরুদ্ধে আগেই পদক্ষেপ করার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন শরদ পওয়ার। এ বার মহারাষ্ট্রে এনসিপির রাজ্য সভাপতি জয়ন্ত পাতিল জানালেন, দলকে অন্ধকারে রেখে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য নয় বিধায়কের পদ খারিজ করার আর্জি জানাবেন তাঁরা। যদিও রবিবারই মহারাষ্ট্রের নয়া উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত জানিয়েছিলেন, এনসিপি দল তাঁর সঙ্গেই রয়েছে। দলের নাম এবং প্রতীকেই তাঁরা আগামী সব নির্বাচনে লড়বেন। মনে করা হচ্ছে, শিবসেনার মতোই এ বার এনসিপির ‘স্বত্বাধিকার’ নিয়েও লড়াইয়ে নামতে চলেছেন কাকা শরদ এবং ভাইপো অজিত।

Advertisement

রবিবার গভীর রাতে একটি সাংবাদিক বৈঠক করে পাতিল জানান, দলের শৃঙ্খলা রক্ষাকারী কমিটি অজিত-সহ নয় বিধায়কের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার প্রস্তাবে সিলমোহর দিয়েছে। ওই বিধায়কদের পদ খারিজ করার জন্য এনসিপির তরফে মহারাষ্ট্র বিধানসভার স্পিকার রাহুল নারভেকর এবং জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে আর্জি জানানো হবে বলে জানিয়েছেন পাতিল। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, স্পিকারের ভূমিকা এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। এনসিপি সূত্রের খবর, বিষয়টির দ্রুত ফয়সালা করার জন্য স্পিকারকে অনুরোধ জানাবে তারা। পাতিল সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, “তাঁরা (নয় বিধায়ক) যে কাজ করেছেন, তা সম্পূর্ণ অবৈধ। শরদ পওয়ার এবং দলকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। জয়প্রকাশ দান্ডেগাঁওকরের নেতৃত্বে দলের শৃঙ্খলা রক্ষাকারী কমিটি তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার প্রস্তাব দিয়েছে। আমরা শীঘ্রই এই প্রস্তাব পেশ করব।” পাতিল এ-ও দাবি করেন যে, যখন থেকে ওই বিধায়কের দলীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়েছেন, তখন থেকেই তাঁরা আর বিধায়ক নেই।

বিধায়ক পদ খারিজের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক একটি রায়কে খাড়া করছে এনসিপি। পাতিল সেই রায়ের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে বলেন, “দলের তরফে যাঁকে মুখ্য সচেতক হিসাবে নিয়োগ করা হচ্ছে, তাঁর সিদ্ধান্তই সকলকে মেনে চলতে হবে। এখানে সংখ্যাটা গুরুত্বপূর্ণ নয়।” যদিও রবিবার ‘মরাঠা স্ট্রংম্যান’ পওয়ার জানিয়েছিলেন, দলের অধিকার রক্ষার জন্য তিনি কোনও আইনি যুদ্ধে যেতে চান না। পরিবর্তে সাধারণ মানুষের কাছে গিয়ে সমর্থন চাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন তিনি।

Advertisement

শরদ পওয়ারের ভাইপো অজিত পওয়ার যে বিজেপির দিকে ঝুঁকছেন— এমন জল্পনা দীর্ঘ দিন ধরেই ডালপালা মেলেছিল মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে। গত কয়েক মাসে নানা ঘটনাপ্রবাহে এই জল্পনা অনেক জল-হাওয়া পেয়েছে। রবিবার আচমকা যে সেই জল্পনায় ইতি টেনে চমক দেবেন অজিত, তা ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি মহা-রাজনীতি। রবিবার দুপুরে হঠাৎই নাটকীয়ভাবে অনুগামী বিধায়কদের সঙ্গে নিয়ে রাজভবনে যান অজিত। তার পরই হাত মেলান শিন্ডে-বিজেপি সরকারের সঙ্গে। উপমুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন পওয়ারের ভাইপো। তাঁর সঙ্গে আরও আট এনসিপি বিধায়ক শপথগ্রহণ করেন। তাঁরা হলেন ছগন ভুজবল, দিলীপ ওয়ালসে পাতিল, অদিতি টাটকারে, ধনঞ্জয় মুন্ডে, হাসান মুশারিফ, ধরমরাজ বাবারাও আতরাম, সঞ্জয় বাঁসোদে এবং অনিল ভাইদাস পাতিল। অজিত দাবি করেন, এনসিপির ৫৩ জন বিধায়কের মধ্যে ৪৩ জনের সমর্থন রয়েছে তাঁর কাছে। বস্তুত, দলত্যাগ আইনের হাত থেকে রেহাই পেতে অজিতের প্রয়োজন ছিল ৩৬ জন বিধায়কের সমর্থন। অজিত এ-ও জানান, এনসিপিতে কোনও ভাঙন ঘটেনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement