ফাইল ছবি।
২ অক্টোবর, মুম্বই উপকূলে প্রমোদতরী থেকে শাহরুখ-তনয় আরিয়ান খানের গ্রেফতারি নিয়ে জলঘোলা অব্যাহত। এ বার সেই মামলায় এনসিবি-র তদন্তকারী আধিকারিক সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিক।
আরিয়ানের গ্রেফতারির পর থেকেই মন্ত্রী তথা প্রভাবশালী এনসিপি নেতা নবাব মালিক এনসিবি-র বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগে সরব হয়েছেন। এ বার তাঁর দাবি, এনসিবি আধিকারিকরা পরিচিত বা কাছের লোকেদের সাক্ষী হিসেবে সঙ্গে নিয়ে অকুস্থলে গিয়েছিলেন। কয়েকটি ছবি প্রকাশ করেন নবাব দাবি করেন, ছবির ব্যক্তির নাম ফ্লেচার পটেল। তাঁর সঙ্গে যে মহিলাকে দেখা যাচ্ছে তিনি এনসিবি আধিকারিক সমীর ওয়াংখেড়ের বোন জ্যাসমিন।
সমীর ওয়াংখেড়ের সঙ্গে ফ্লেচারের অন্য একটি ছবি দেখিয়ে তাঁর দাবি, সমীর ও ফ্লেচার একে অপরের পূর্ব পরিচিত। এবং সেই ফ্লেচারকেই মাদক মামলায় সাক্ষী করেছে এনসিবি।
নবাবের প্রশ্ন, এনসিবি আধিকারিকরা কী ভাবে তাঁদের ঘনিষ্ঠ লোকজনকে মামলার সাক্ষী হিসেবে দেখাচ্ছেন?
গত সপ্তাহে নবাব কয়েকটি ভিডিয়ো দেখিয়ে অভিযোগ করেছিলেন, ২ অক্টোবর প্রমোদতরীতে মাদক মামলায় ধৃত তিন জনকে অভিযান শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। এনসিবি-র সঙ্গে বিজেপি ঘনিষ্ঠতার দাবি তুলে নবাব অভিযোগ করেছিলেন, ‘‘অভিযান শেষে এনসিবি-র সমীর ওয়াংখেড়ে বলেছিলেন ৮ থেকে ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। কিন্তু আসল সত্যি হল, সে দিন মোট ১১ জনকে আটক করা হয়। ঋষভ সচদেবা, প্রতীক গাবা ও আমির ফার্নিচারওয়ালা নামে তিন জনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।’’ ঘটনাচক্রে নবাবের অভিযোগ করা ঋষভ সচদেবা এক বিজেপি নেতার আত্মীয়। সঠিক তথ্য প্রকাশ্যে আনতে মুম্বই পুলিশকে দিয়ে তদন্তেরও দাবি করেন নবাব।
শুক্রবার একই ভাবে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। তিনি বলেছিলেন, ‘‘এটা (মাদক বাজেয়াপ্ত) কি শুধু মহারাষ্ট্রেই হচ্ছে? মুন্দ্রা বন্দর থেকে কোটি টাকার মাদক ধরা পড়েছে। তোমাদের এনসিবি যখন সামান্য গাঁজা বাজেয়াপ্ত করে দুনিয়া মাথায় তুলছে, তখন আমাদের পুলিশ ১৫০ কোটি টাকার মাদক ধরছে। আসলে তোমরা তারকাদের ধরে তাঁদের সঙ্গে ছবি তোলায় বেশি ব্যস্ত।’’