রায়গড়ে ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে চলছে উদ্ধারকাজ। ছবি: পিটিআই।
রাজ্যের রাজধানী মুম্বই থেকে মাত্র ৮০ কিলোমিটার দূরে ভূমিধস প্রাণ কেড়ে নিল কম পক্ষে ২৭ জন মানুষের। গুরুতর জখম বহু। এখনও পর্যন্ত খোঁজ মেলেনি ৮১ জনের। মহারাষ্ট্রের রায়গড় জেলার ইরশালবাদী নামের ছোট্ট গ্রামটির জনজীবনে বুধবার রাত থেকে কার্যত নেমে এসেছে হাহাকার। ধসে চাপা পড়েছে গ্রামের ৪৮টি বাড়ির মধ্যে ১৭টি। লাগাতার বৃষ্টিতে বিপর্যয় আরও বেড়েছে।
বুধবার শেষ রাতে হঠাৎ ভূমিধসে প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়া ইরশালবাদী গ্রামে প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই উদ্ধারকাজশুরু করেছিল বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকাল থেকে প্রবল বর্ষণে বারবার প্রতিহত হয়েছে তা। তার মধ্যেই ১৬ জনের দেহ উদ্ধার করা হয়। শুক্রবার সন্ধ্যা ছ’টায় তো সম্পূর্ণ ভাবে মুলতুবি রাখতে হয় উদ্ধারকাজ। সারারাত অঝোর বৃষ্টির পরে শনিবার ফের উদ্ধারে নামে প্রশাসন ও বাহিনী। তার পরেইউদ্ধার হওয়া মৃতদেহের সংখ্যা দাঁড়ায় ২৭য়ে। মৃতদের মধ্যে ১২ জন মহিলা, ১০ জন পুরুষ ও চার শিশু রয়েছে। এক জনের স্রেফ দেহাবশেষ উদ্ধার হয়েছে বলে তাঁর বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। এক পরিবারের ন’জন সদস্যই প্রাণ হারিয়েছেন এই দুর্ঘটনায়। গ্রামটির জনসংখ্যা ২২৯, তাঁদের মধ্যে নিরাপদে রয়েছেন মাত্র ১১১ জন। আশঙ্কা করা হচ্ছে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে। বাহিনী আরও জানিয়েছে, পাকা রাস্তা না থাকায় উদ্ধারের কাজ কঠিন হয়েছে।
আজ, শনিবার দুর্ঘটনাগ্রস্তদের সঙ্গে দেখা করেন শিব সেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সেখানে তিনি বলেন, এই ধরনের ধসপ্রবণ এলাকার গ্রামের মানুষকে নিরাপদ এলাকায় পুনর্বাসন দেওয়া প্রয়োজন। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্দে একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ভূমিধসে ২ থেকে ১৪ বছরের যে সব অপ্রাপ্তবয়স্করা পরিবার হারিয়েছে তাদের লেখাপড়া-সহ সামগ্রিক দায়িত্ব নেবে তাঁর শ্রীকান্ত শিন্দে ফাউন্ডেশন। পাশাপাশি, মৃতদের পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণাকরেন তিনি।