একনাথ শিন্দে। —ফাইল চিত্র।
মরাঠা জনজাতিভুক্ত কুনবি সম্প্রদায়ের সংরক্ষণের বিষয়ে অবশেষে সক্রিয় হল একনাথ শিন্দের নেতৃত্বাধীন শিন্দেসেনা-বিজেপি-এনসিপি (অজিত) মহারাষ্ট্রের জোট সরকার।
আজ এ বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিটির প্রথম রিপোর্টের ভিত্তিতে মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিষয়টি অনুমোদিত হয়। মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্দের দফতরের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, ‘‘প্রাক্তন বিচারপতি সন্দীপ শিন্দের নেতৃত্বাধীন কমিটির প্রথম রিপোর্ট জমা পড়েছে। কুনবিদের জাতিগত সংরক্ষণের শংসাপত্র দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।’’
এ দিনের বৈঠকের পরে শিন্ডে সরকার জানিয়েছে, কুনবিদের পিছিয়ে পড়া অনসগ্রসর শ্রেণির (ওবিসি) আওতায় সংরক্ষণের শংসাপত্র দেওয়া হবে। পাশাপাশি ঠিক হয়েছে, মরাঠা সম্প্রদায় শিক্ষাগত এবং সামাজিক ক্ষেত্রে কতটা পিছিয়ে সে বিষয়ে নতুন করে তথ্য সংগ্রহ করবে ওবিসি কমিশন। কুনবিরা মূলত কৃষক সম্প্রদায়ভুক্ত। শিন্দে কমিটি তাদের রিপোর্টে জানিয়েছে, ১ লক্ষ মরাঠা সম্প্রদায়ভুক্তের নথি যাচাই করে ১১,৫৩০ জন কুনবিকে চিহ্নিত করেছে তারা।
সরকারি চাকরি এবং শিক্ষাক্ষেত্রে সম্পূর্ণ মরাঠা জনগোষ্ঠীর সংরক্ষণ চেয়ে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলনে উত্তাল মহারাষ্ট্র। সম্প্রতি আন্দোলনকারীরা অনশন কর্মসূচিতে নেন।
তবে এনসিপি (অজিত পওয়ার শিবির) নেতা তথা মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী প্রকাশ সোলাঙ্কি গত সপ্তাহে সেই আন্দোলনের নেতা মনোজ জারঙ্গে পাটিলের অনশন কর্মসূচিকে কটাক্ষ করায় নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়। সোমবার বীড জেলায় প্রকাশের বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় আন্দোলনকারীরা। হামলা হয় বীড জেলার আর এক এনসিপি বিধায়কের দফতরেও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মাঠে নেমেছে পুলিশ।
আজ সকাল থেকে বীড জুড়ে বন্ধ ছিল ইন্টারনেট পরিষেবা। স্থানে স্থানে ব্যারিকেড করে পাহারা দিয়েছে পুলিশ। গতকাল অন্তত ৫৩টি বাসে ভাঙচুর চালায় আন্দোলনকারীরা। যার জেরে প্রায় ৭০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। আজ সেখানে বাস পরিষেবা বন্ধ ছিল। গতকালের হিংসার ঘটনায় বীডের পুলিশ ৫৫ জনকে গ্রেফতার করেছে। তবে আজ দিনের শেষে পরিস্থিতি নতুন করে উত্তপ্ত হয়নি। অবস্থা নিয়ন্ত্রণে বলেই জানিয়েছে পুলিশ। যদিও মহারাষ্ট্র সরকারের এই পদক্ষেপে পুরোপুরি খুশি হন আন্দোলনকারীদের নেতা, অনশনকারী মনোজ জারঙ্গে। তিনি বলেছেন, ‘‘এই রকম অসম্পূর্ণ সংরক্ষণ অর্থহীন।’’ সমগ্র মরাঠা সম্প্রদায়ের জন্য সংরক্ষণের দাবি জানিয়েছেন তিনি।