ফাইল চিত্র।
শিবসেনার সংসারে বিদ্রোহ। এই ‘গৃহযুদ্ধের’ টানাপড়েনে দুর্গ বাঁচাতে এ বার হাল ধরলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের ঘরনি রশ্মি ঠাকরে। বিদ্রোহী বিধায়কদের ক্ষোভ মেটাতে তাঁদের স্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করলেন উদ্ধব-পত্নী। বিদ্রোহীরা যাতে ফিরে আসেন, রশ্মি সেই আর্জিই করেছেন বলে সূত্রের খবর।
প্রকাশ্যে দলত্যাগ-বিরোধী আইন প্রয়োগের হুঁশিয়ারি দিলেও গদি বাঁচানোর শেষ চেষ্টা হিসেবে দলের অন্দরের ক্ষোভ প্রশমনের কাজ করছেন বালাসাহেব-পুত্রও। সূত্রের খবর, গুয়াহাটির হোটেলে শিবসেনার বিদ্রোহী কয়েক জন বিধায়কের সঙ্গে মেসেজে যোগাযোগ রাখছেন উদ্ধব।
যদিও এখনও চিঁড়ে ভেজেনি শিন্ডে শিবিরের। বরং জল্পনা বাড়িয়ে শনিবার মধ্যরাতে বিশেষ বিমানে চেপে বডোদরায় যান একনাথ। সেখানে দেখা করেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফডণবীসের সঙ্গে। এতেই শেষ নয়! ওই সময় না কি বডোদরায় ছিলেন স্বয়ং অমিত শাহ। যদিও শাহের সঙ্গে শিন্ডের দেখা হয়েছে কি না, তা জানা যায়নি।
অন্য দিকে, ‘শিবসেনা (বালাসাহেব)’ নামে পৃথক একটি গোষ্ঠীর স্বীকৃতির দাবি জানিয়েছেন বিদ্রোহী বিধায়ক দীপক কেসারকার। এই খবর প্রকাশ্যে আসার পরই তৎপর হয়েছেন উদ্ধব সমর্থকরা। অন্য কোনও রাজনৈতিক দল বা গোষ্ঠী শিবসেনা বা বালাসাহেব ঠাকরের নাম ব্যবহার করতে না পারেন, সে দাবি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব। বিদ্রোহীরা বলেছেন, তাঁরা এখনও শিবসেনার সঙ্গেই রয়েছেন। তাঁদের কাছে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে বলেও দাবি করেছেন তাঁরা।