আজ মহারাষ্ট্র নিয়ে শুনানি সুপ্রিম কোর্টে। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
দেবেন্দ্র ফডণবীসের পক্ষে ১৭০ বিধায়কের সমর্থন রয়েছে দেখেই তাঁকে সরকার গঠনে আহ্বান জানান মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ভগৎ সিংহ কোশিয়ারি। মহারাষ্ট্র নিয়ে শুনানি চলাকালীন সোমবার আদালতে জানালেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। মহারাষ্ট্রে কী হবে, কাল সকাল সাড়ে ১০টায় রায় দেবে সুপ্রিম কোর্ট। (আর কী বলল সুপ্রিম কোর্ট? সবিস্তার আসছে...)
এ দিন আদালতে মোট তিনটি চিঠি তুলে ধরেন তিনি, যার মধ্যে একটি হল দেবেন্দ্র ফডণবীসের তরফে রাজ্যপালকে দেওয়া সংখ্যাগরিষ্ঠতার চিঠি। তাতে ১৭০ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। দ্বিতীয় চিঠিটি অজিত পওয়ারের লেখা। এনসিপি নেতা হিসাবে গত ২২ নভেম্বর তিনি ওই চিঠি লিখেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। তাতে ৫৪ জন এনসিপি বিধায়কের স্বাক্ষর ছিল। রাজ্যপালের ফডণবীসকে সরকার গড়তে আমন্ত্রণ জানানোর তৃতীয় চিঠিও জমা পড়ে আদালতে।
অন্য দিকে, মহারাষ্ট্রে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরোধিতায় এ দিন আদালতে যৌথ পিটিশন দায়ের করে শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস। শিবসেনার আইনজীবী কপিল সিব্বল বলেন, ‘‘কী এমন তাড়া ছিল যে ভোর সওয়া ৫টায় রাষ্ট্রপতি শাসন তুলে নেওয়া হল মহারাষ্ট্রে। তার পর ৮টায় শপথগ্রহণও হয়ে গেল? অর্থাৎ ওই রাতেই সবকিছু সারা হয়েছিল।’’
• মহারাষ্ট্রে কী হবে, কাল সকাল সাড়ে ১০টায় রায় দেবে সুপ্রিম কোর্ট।
• মহারাষ্ট্রে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরোধিতায় আদালতে যৌথ পিটিশন শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস।
• আদালতে কেন্দ্রের হয়ে সওয়াল সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার।
• ২২ নভেম্বর অজিত পওয়ারের লেখা চিঠি জমা দেওয়া হল। এনসিপি দলনেতা হিসাবে ওই চিঠি লিখেছিলেন তিনি।
• সুপ্রিম কোর্টে বিজেপিকে সমর্থনের চিঠি জমা পড়ল।
সুপ্রিম কোর্টের বাইরে অশোক চহ্বাণ। ছবি: পিটিআই।
•তুষার মেহতা বলেন, ‘‘২২ নভেম্বর অজিত পওয়ারের হাত থেকে ৫৪ জন এনসিপি বিধায়কের সমর্থনের চিঠি পান মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল। তাতে বলা হয়, অজিত পওয়ার এনসিপির পরিষদীয় দলনেতা। তাঁর সিদ্ধান্তে সমর্থন রয়েছে ৫৪ জন এনসিপি বিধায়কের।’’
• দেবেন্দ্র ফডণবীসের আইনজীবী মুকুল রোহতগি বলেন, ‘‘বিজেপির সঙ্গে ১৭০ বিধায়কের সমর্থন রয়েছে। এ পরেও রাজ্যপালের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করা যায় কি? সবকিছু খতিয়ে দেখেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যপাল। উনি আস্থাভোটের জন্য যে দিন স্থির করেছেন, সে দিনই আস্থাভোট হওয়া উচিত। এ ব্যাপারে আদালতের নাক গলানোর উচিত নয়।’’
আরও পড়ুন: আজ আবার মহারাষ্ট্র শুনানি, সমর্থনের চিঠি তলব সুপ্রিম কোর্টের
• শিবসেনার আইনজীবী কপিল সিব্বল বলেন, ‘‘কী এমন তাড়া ছিল যে ভোর সওয়া ৫টায় রাষ্ট্রপতি শাসন তুলে নেওয়া হল মহারাষ্ট্রে। তার পর ৮টায় শপথগ্রহণও হয়ে গেল? অর্থাৎ ওই রাতেই সবকিছু সারা হয়েছিল।’’
• কপিল সিব্বল বলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আস্থাভোট করতে হবে। বিধানসভায় অভিজ্ঞ সদস্যদের উপস্থিতিতে তা ভিডিয়ো-রেকর্ডও করতে হবে। ভোট হতে হবে সিঙ্গলা ব্যালটে। রাতের অন্ধকারেই অনেকে সুবিধা তোলেন, তাই আস্থাভোটও হোক রাতভর।