রাজভবন থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি আদিত্য ঠাকরে।
ফল ঘোষণার পর এক সপ্তাহ কেটে গিয়েছে। কিন্তু মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন নিয়ে বিজেপি-শিবসেনা সঙ্ঘাত মেটার নাম নেই। বরং ৫০-৫০ ইস্যুতেই বেড়ে চলেছে দ্বন্দ্ব। এই পরিস্থিতিতেই বিজেপির উপর চাপ বাড়িয়ে বৃহস্পতিবার ফের মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ভগত সিংহ কোশিয়ারির সঙ্গে দেখা করলেন শিবসেনা নেতারা। এ দিন সন্ধ্যায় ৬৩ জন বিধায়ককে নিয়ে রাজভবনে যান আদিত্য ঠাকরে। কিন্তু সরকার গঠনের দাবি জানানো হয়েছে কি না, সে বিষয়ে এখনও স্পষ্ট কোনও ইঙ্গিত মেলেনি।
রাজভবন থেকে বেরিয়ে আদিত্য ঠাকরে অবশ্য জানান, সাম্প্রতিক বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত চাষি ও মৎস্যজীবীদের সাহা্য্যের আর্জি নিয়ে গিয়েছিলেন। আদিত্য বলেন, ‘‘বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত চাষি ও মৎস্যজীবীদের সাহায্য করার জন্য আমরা রাজ্যপালকে অনুরোধ করেছি। তিনি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন যে, তিনি বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলবেন।’’
বিজেপি-শিবসেনা সঙ্ঘাতে যাঁর নাম সবচেয়ে বেশি উঠে এসেছে, তিনি আদিত্য ঠাকরে। প্রথম বার বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের ছেলে। শেষ পর্যন্ত আড়াই বছর করে মুখ্যমন্ত্রীর ফর্মুলা কার্যকর হলে তিনিই শিবসেনার মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী। সেই আদিত্য ঠাকরের নেতৃত্বে ৬৩ জন বিধায়কের রাজভবনে যাওয়া রাজনৈতিক ভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
তবে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা, এর পিছনে ‘পওয়ার প্লে’ও থাকতে পারে। বিজেপির উপর চাপ বজায় রাখতে শিবসেনা বরাবরই জল্পনা বাড়িয়েছে যে প্রয়োজনে এনসিপি-র সঙ্গে জোট করে সরকার গঠন করতে পারে। বিজেপিকে ঠেকাতে সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়নি শরদ পওয়ারের দলও। বরং সেটা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতীয় সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মীদের হোয়াটসঅ্যাপে আড়ি! ব্যাখ্যা চাইল কেন্দ্র
আরও পড়ুন: অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানো বরদাস্ত নয়, কাশ্মীর-লাদাখ নিয়ে চিনকে কড়া জবাব ভারতের
কিন্তু প্রশ্ন হল, শিবসেনা-এনসিপি জোট হলেও ম্যাজিক সংখ্যায় (১৪৫) পৌঁছতে পারবে না এই জোট। শিবসেনা জিতেছে ৫৬টি আসন। যদিও আজ ৬৩ বিধায়ক নিয়ে রাজভবনে যান আদিত্য। এনসিপির আসন ৫৪টি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, সে ক্ষেত্রে বিজেপিকে ঠেকাতে কংগ্রেস বাইরে থেকে সমর্থন করতে পারে। তখন অবশ্য তিন দলের মিলিত আসন সংখ্যায় সরকার গড়তে আর কোনও সমস্য থাকবে না। যদিও সেনার তরফেও এনসিপি বা কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের বিষয়ে স্পষ্ট কোনও বার্তা দেওয়া হয়নি। শুধুই জল্পনা, হুমকির পর্যায়েই রয়েছে।