জামিন অযোগ্য ধারায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল। কিন্তু তন্ন তন্ন করে খুঁজেও দুই অভিযুক্তের কোনও খোঁজ পেল না পুলিশ। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
আদালতের নির্দেশ ছিল অবিলম্বে দুই পৃথক মামলায় দুই অভিযুক্তকে অবিলম্বে আদালতে হাজির করাতে হবে। জামিন অযোগ্য ধারায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল। কিন্তু তন্ন তন্ন করে খুঁজেও দুই অভিযুক্তের কোনও খোঁজ পেল না পুলিশ। শেষ পর্যন্ত দুই মামলা আপাতত বন্ধ করল মহারাষ্ট্রের একটি নিম্ন আদালত।
আসলে দুই মামলাই প্রায় ৭০ বছর পুরনো। বেঁচে থাকলে অভিযুক্তদের বয়স হবে ১০০ বছরের উপরে। একটি মামলা ছিল জনৈক জোশীর বিরুদ্ধে। মদ নিষিদ্ধ ছিল মোরা জেটি অঞ্চলে। সেখানে দেশি মদ খেয়ে পড়েছিলেন যোশী। মদ্যপ অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করার পর জোশীর বিরুদ্ধে মামলা হয়। এক বার গ্রেফতারের পর তাঁর জামিনও হয়। তবে মামলার শুনানির সময় তাঁকে আর পাওয়া যায়নি।
অন্য মামলাটি ১৯৫৫ সালের। সেখানে রত্নাগিরির বাসিন্দা শঙ্কর সোনু মালগুন্ডের বিরুদ্ধে গৃহকর্তার বাড়ি থেকে নগদ টাকা, সোনার অলঙ্কার চুরি করে পালানোর অভিযোগ ওঠে। মামলা ওঠে আদালতে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৮১ ধারায় মামলা দায়ের হয়। এক বার পুলিশ অভিযুক্তকে পাকড়াও করেছিল। কিন্তু তিনিও জামিন পেয়ে উধাও হয়ে যান। আর তাঁকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এই দুই মামলার শুনানি শুরু হয়েছিল গত জানুয়ারি মাসে। চলতি সপ্তাহে ছিল শুনানি। কিন্তু পুলিশ জানায়, অনেক চেষ্টা করেও দুই অভিযুক্তের কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি। তাঁরা বেঁচে আছেন কি না সেটাও সন্দেহের। কারণ, দুই যুবকের বিরুদ্ধে যখন অভিযোগ ওঠে, তখন তাঁদের বয়স ছিল ৩০ বছর। এখন ৭০ বছর পর কোথায় তাঁদের হদিস পাওয়া যাবে! আদালতে পুলিশ বলে, ‘‘ওঁরা যদি বেঁচে থাকেন তবে ওঁদের বয়স হত ১০৫ বছর।’’
উল্লেখ্য, দেশের বিভিন্ন আদালতে প্রায় ৪ কোটি ৭০ লক্ষ মামলা ঝুলে আছে। শুধু সুপ্রিম কোর্টেই ৭০ হাজার ১৫৪টি মামলা শুনানির অপেক্ষায় পড়ে। এমন অনেক মামলাই জোশী, শঙ্করের বিরুদ্ধে মামলার মতোই পুরনো।