প্রতারণার অভিযোগে ধৃত দম্পতি। ছবি: সংগৃহীত
ভুয়ো পরিচয় এবং ভুয়ো আবেদন করে সরকারি যোজনার সুবিধা নেওয়া এবং টাকা হাতানোর অভিযোগ উঠল এক দম্পতির বিরুদ্ধে। মহারাষ্ট্রের সাতারা জেলার ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে ধৃতেরা হলেন, প্রতীক্ষা পোপট যাদব এবং গণেশ সঞ্জয় ঘাড়গে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মহারাষ্ট্র সরকারের ‘লড়কি বহেন যোজনা’য় আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া মহিলাদের প্রতি মাসে ১৫০০ টাকা দেওয়া হয়। সেই টাকা পেতে প্রতারণার পথ বেছে নেন সাতারার ওই দম্পতি। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, ওই যোজনার সুবিধা পেতে প্রতীক্ষা ভুয়ো আধার কার্ড ব্যবহার করেন। ৩০টি আবেদন করেছিলেন ভুয়ো আধার কার্ড ব্যবহার করে। আর এ কাজে তাঁকে সহযোগিতা করেছিলেন তাঁরই স্বামী গণেশ।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ৩০ জনের ভুয়ো নামে প্রতি মাসে প্রতীক্ষার অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকছিল বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। আর প্রতিটি অ্যাকাউন্টই ছিল প্রতীক্ষার। কিন্তু বিভিন্ন নামে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে পানভেলের এক মহিলার তৎপরতায়। তিনি একটি অভিযোগ দায়ের করেন। আর সেই অভিযোগ পাওয়ার পরই তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে জেলা প্রশাসন। তদন্তের সময় দেখা যায়, ৩০টি আবেদনপত্রে একটিই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর দেওয়া। আর সেই অ্যাকাউন্টেই প্রতি মাসে টাকা ঢুকছিল। তদন্তে একের পর এক প্রতারণা প্রকাশ্যে আসতেই মঙ্গলবার ওই দম্পতিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই দম্পতির সঙ্গে কোনও চক্র কাজ করছে কি না, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
পুলিশ সুপার সমীর শেখ জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, আর্থিক অনটন দূর করতে ওই দম্পতি প্রতারণার জাল পেতেছিলেন। গত জুনে রাজ্য বাজেটে ‘মুখ্যমন্ত্রী লড়কি বহেন যোজনা’ ঘোষণা করে মহারাষ্ট্র সরকার। আর্থিক ভাবে দুর্বল, এমন ২১-৬৫ বছরের মহিলাদের এই যোজনায় প্রতি মাসে ১৫০০ টাকা করে ভাতা দেওয়া হয়।