শনিবার দলীয় বৈঠকের পরে একটি বাসে চড়ে গন্তব্যে রওনা হলেন এনসিপি নেতারা। ছবি: পিটিআই।
শনিবার সকালেই অজিত পওয়ার জানিয়েছিলেন, তাঁর সঙ্গে আছেন অন্তত ৩০ জন বিধায়ক। বিকেলে এনসিপি আয়োজিত সর্বদলীয় বৈঠকে দেখা গেল দলের পাঁচ বিধায়ক নিখোঁজ।
রাতারাতি ভোল বদলে ফেলা অজিত পওয়ার মহারাষ্ট্রের সব হিসেবনিকেশ গুলিয়ে দিয়েছেন। তার সাহায্যে ফের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন দেবেন্দ্র ফডণবীস। তবে হেরে যাওয়ার আগে মাঠ ছাড়তে রাজি নন প্রবীণ এনসিপি নেতা শরদ পওয়ার। জল মাপতে শনিবার ওয়াই বি চহ্বণ সভাগৃহে দলের বৈঠক ডাকেন শরদ। তাতে প্রথমে দেখা মেলেনি ছয় বিধায়কের। বৈঠক শুরু হওয়ার বেশ কিছু ক্ষণ পরে আসেন ‘নিখোঁজ’ হেভিওয়েট নেতা ধনঞ্জয় মুণ্ডে। তবে শেষ পর্যন্ত দেখা মেলেনি পাঁচ বিধায়কের।
রাজনৈতিক মহলে তুমুল জল্পনা, অজিত পওয়ার-সহ ওই বিধায়কদের দিল্লি উড়িয়ে নিয়ে গিয়েছে বিজেপি। অনেকে বলছেন ৫ জন নয়, দিল্লি গিয়েছেন ৯ জন বিধায়ক। এই বিক্ষুব্ধ বিধায়কের তালিকায় সুনীল ভূসার, দিলীপ বাঁকার, দৌলত দারোদা, নরহরি জিরোয়ার, অনিল পাতিল, নিতিন পওয়ারের মতো এনসিপি নেতাদের নামও রয়েছে।
আরও পড়ুন:সার্জিকাল স্ট্রাইক: মাঝরাতে শিবির বদল অজিত পওয়ারের
আরও পড়ুন:এক মাস চুপ থেকে বাজিমাত
দলের ভাঙন শরদ পওয়ার অবশ্য টের পেয়েছিলেন সকালেই। রাজভবনের শপথ অনুষ্ঠানে বেশ কয়েক জন এনসিপি নেতাকে দেখা গিয়েছিল বলে জানিয়েছিলেন তিনিই। তবে তাঁদের অনেকে পরে দলীয় বৈঠকেও যোগ দেন। এনসিপি নেতা রাজেন্দ্র শিংনের দাবি, কিছু না বুঝেই তিনি রাজভবনে গিয়েছিলেন।
এনসিপি বিধায়ক নিখোঁজের ঘটনায় ত্রস্ত শিবসেনা-কংগ্রেসও। কংগ্রেসের তরফে বিধায়কদের তড়িঘড়ি ভোপাল নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে একটি সূত্র। দলীয়বিধায়কদের সম্ভবত জয়পুরে কোনও রিসর্টে রাখার চেষ্টা করছে শিবসেনা। আবার কোনও সূত্র বলছে, মুম্বইতেই রয়েছেন বিভিন্ন দলের বিধায়করা।
২৮৮ আসনের মহারাষ্ট্র বিধানসভার ম্যাজিক সংখ্যা হল ১৪৫। বিজেপি জিতেছে ১০৫টি আসনে। ক্ষমতা দখলে তাদের প্রয়োজন আরও ৪০ জন বিধায়কের সমর্থন। শিবসেনা, কংগ্রেস ও এনসিপি হাত মিলিয়ে সরকার গড়া নিশ্চিত করে ফেলেছে দেখে পাল্টা চালে অজিতকে তুরুপের তাস করে বিজেপি। এই অবস্থায় ঘর ভাঙা আটকাতে মরণ বাঁচন লড়াই করা ছাড়া আর কোনও পথ খোলা নেই সেনা-কংগ্রেস-এনসিপির হাতে।