মহারাষ্ট্র সরকারের এই পদক্ষেপের ফলে কমবয়সিদের মধ্যে ধূমপানের প্রবণতা কমানো যাবে বলে মনে করছেন অনেকে। প্রতীকী ছবি।
দেশের মধ্যে প্রথম রাজ্য হিসাবে খোলা সিগারেট-বিড়ি বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করল মহারাষ্ট্র। ফলে এখন থেকে ওই রাজ্যে প্যাকেট ছাড়া সিগারেট বা বিড়ি কেনা যাবে না। মূলত ধূমপায়ীদের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়াতেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। এতে বহু ধূমপায়ী বিপত্তিতে পড়লেও মহারাষ্ট্র সরকারের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন চিকিৎসক মহলের একাংশ।
সিগারেট, বিড়ি নিয়ে মহারাষ্ট্রের জনস্বাস্থ্য দফতরের এই নতুন নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে গত বৃহস্পতিবার। একটি বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য দফতরের মুখ্যসচিব প্রদীপ ব্যাস জানিয়েছেন, সিগারেট এবং অন্যান্য তামাকজাত দ্রব্য (বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ এবং বাণিজ্য, উৎপাদন, সরবরাহ ও বিতরণ নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৩-এর ৭ ধারার ২ নম্বর উপধারার আওতায় খোলা সিগারেট, বিড়ি বিক্রিতে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল।
কেন এই পদক্ষেপ? ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ধূমপায়ীদের সিগারেট-বিড়ির কুপ্রভাব নিয়ে সচেতন করতে এর প্যাকেটে স্বাস্থ্যসংক্রান্ত বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ থাকে। যা খোলা সিগারেট বা বিড়ির ক্ষেত্রে রাখা সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন: দৈনিক সংক্রমণের হার বাড়ল সামান্য, দেশে করোনায় আক্রান্ত প্রায় ৬০ লক্ষ
মহারাষ্ট্র সরকারের এই পদক্ষেপের ফলে কমবয়সিদের মধ্যে ধূমপানের প্রবণতা কমানো যাবে বলে মনে করছেন অনেকে। টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালের ক্যানসার সার্জন পঙ্কজ চতুর্বেদীর মতে, এতে যুবসমাজে ধূমপানের অভ্যাসও কমবে। তাঁর কথায়, “ভারতে তামাকজাত দ্রব্য সেবন মহামারিতে পরিণত হয়েছে ১৬-১৭ বয়সিদের মধ্যে ধূমপানের অভ্যাসের ফলে। আর্থিক কারণেই তারা গোটা প্যাকেট না কিনে খুচরো বা খোলা সিগারেট-বিড়ি কেনে।”
আরও পড়ুন: ‘টিকার জন্য ৮০ হাজার কোটির পুঁজি আছে তো!’
তবে শুধুমাত্র কমবয়সিদের মধ্যেই যে এই প্রবণতা রয়েছে, তা নয়। অনেক প্রাপ্তবয়স্ক ধূমপায়ীও গোটা প্যাকেট না কিনে খুচরো সিগারেট-বিড়ি কেনেন। পঙ্কজ বলেন, “সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, তামাকজাত দ্রব্যের উপর ১৮ শতাংশ কর চাপানোর পর ধূমপায়ীদের সংখ্যা কমে গিয়েছে ৮ শতাংশ। কিন্তু, ধূমপায়ীদের যদি খুচরো বা খোলা সিগারেট-বিড়ি কিনতে দেওয়া হয়, তবে তাঁরা এতে চাপানো করের ভার বুঝতে পারেন না।”