অম্বানিদের মুম্বইয়ের বাড়ির সামনে জলপাই রঙের যে এসইউভি থেকে বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছিল।
ঠানের ব্যবসায়ী মনসুখ হিরেনের মৃত্যুতেই কি লুকিয়ে মুকেশ অম্বানির বাড়ির সামনে বিস্ফোরক বোঝাই স্করপিও রাখার রহস্য? হদিশ পেতে বুধবার থেকে তদন্তে নামল মহারাষ্ট্রের সন্ত্রাস দমন বাহিনী (এটিএস)। শুরুতেই মনসুখের স্ত্রী ও দুই পুত্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তাঁরা। এর পাশাপাশি খতিয়ে দেখা হচ্ছে তাঁদের কল লিস্টের রেকর্ডও।
অম্বানিদের মুম্বইয়ের বাড়ির সামনে জলপাই রঙের যে এসইউভি থেকে বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছিল, সেই গাড়ি ছিল মনসুখেরই। ওই ঘটনা ঘটার দু’দিন আগে চুরি যায় গাড়িটি। থানায় চুরির কথা জানান মনসুখ। তবে রহস্য বাড়ে, যখন মনসুখ জানিয়েছিলেন, ওই গাড়ি গত বছর নভেম্বর থেকে এ বছর ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ব্যবহার করেছেন বর্তমানে অম্বানি মামলারই তদন্তকারী এক পুলিশ কর্তা শচীন ভাজ।
শচীন গাড়িটি ব্যবহারের কথা এর আগে তাঁর দফতরের বিভাগীয় কর্তাদের জানাননি। মনসুখের পরিবারের অভিযোগ, গাড়িটি যে শচীন ব্যবহার করেছেন, সেই তথ্য সামনে আসার দিন কয়েকের মধ্যেই মনসুখের মৃত্যু হয়। এক পুলিশ কর্তার ফোন পেয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন মনসুখ। আর ফেরেননি। গত ৫ মার্চ তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয় মুম্বরা ক্রিক থেকে। জলে ঝাঁপ দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে জানায় পুলিশ। যদিও মনসুখের স্ত্রী বিমলা হিরেনের অভিযোগ, ‘‘মনসুখ ভাল সাঁতারু ছিলেন, জলে ডোবা তাঁর পক্ষে সম্ভবই নয়।’’ ঘটনাটিকে একটি হত্যার ঘটনা বলে মন্তব্য করে বিমলা বলেন, এর নেপথ্যে কোনও না কোনওভাবে জড়িয়ে আছেন পুলিশ কর্তা শচীন। তিনি অটোপার্টসের ব্যবসায়ী মনসুখের নিয়মিত গ্রাহকও ছিলেন।
অম্বানি-কাণ্ডে এর আগে মনসুখকেই জেরা করছিল মুম্বই পুলিশ। যদিও এ ব্যাপারে পুলিশ কর্তা শচীনের নাম উঠে আসায় তদন্তের অভিমুখ বদলে যায়। বিমলা জানিয়েছেন, গত ৪ মার্চ শেষ নিজের স্বামীকে দেখেছিলেন তিনি। ঘোরবন্দরের কান্ডিভালিতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বেরোন তিনি। ক্রাইমব্রাঞ্চের এক পুলিশকর্তা তাওড়ের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। তিনি আত্মহত্যা করতেই পারেন না।
নিজের অভিযোগে বিমলা বলেন, ‘‘ওঁর ফোন, সোনার চেন, ওয়ালেট পাওয়া যায়নি। আমি নিশ্চিত ওঁকে খুন করা হয়েছে।’’ বিমলার এই অভিযোগই খতিয়ে দেখছে মহারাষ্ট্র এটিএস।