ছবিমুক্তির পর পরই ‘রিভিউ’ প্রকাশ হয়ে যাওয়ায় অসন্তুষ্ট প্রযোজকেরা আদালতের দ্বারস্থ। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
ছবিমুক্তির প্রথম তিন দিনের মধ্যে সমাজমাধ্যমে কোনও ‘রিভিউ’ প্রকাশ করা যাবে না। মাদ্রাজ হাই কোর্টে এমনটাই আর্জি জানিয়েছিলেন প্রযোজকেরা। কিন্তু আদালত সেই আর্জি আপাতত খারিজ করে দিয়েছে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, যে কোনও ছবি দেখে তার ‘রিভিউ’ দেওয়া ব্যক্তিবিশেষের মত প্রকাশের স্বাধীনতার অঙ্গ। তাতে আদালত হস্তক্ষেপ করতে পারে না।
মুক্তির পর পরই ছবির ‘রিভিউ’ প্রকাশ নিষিদ্ধ করতে চেয়ে মাদ্রাজ হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল তামিল প্রযোজকদের সংগঠন তামিল ফিল্ম অ্যাকটিভ প্রোডিউসার্স অ্যাসোসিসেশন (টিএফএপিএ)। তাদের বক্তব্য ছিল, যে কোনও ছবি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়ার পর পরই বহু মানুষ তা দেখে এসে সমাজমাধ্যমে ব্যক্তিগত ভাবে অথবা কোনও চ্যানেলের তরফে ‘রিভিউ’ প্রকাশ করেন। ছবি কেমন লাগল, গল্প কী, ইত্যাদি বলে দেওয়া হয় ওই ‘রিভিউ’তে। এমনকি, অনেক ক্ষেত্রেই ছবির নির্মাতাদের বদনাম করা হয়। সম্মিলিত ভাবে এর বিরোধিতা করেছেন প্রযোজকেরা।
মাদ্রাজ হাই কোর্টের বিচারপতি এস সাউন্থারের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি ছিল। প্রযোজকদের আইনজীবী বিজয়ন সুব্রহ্মণ্যম জানান, ছবি মুক্তির পর যে সমস্ত ইউটিউব চ্যানেলে ছবির ‘রিভিউ’ প্রকাশ করা হয়, সেখানে অনেক ক্ষেত্রেই নির্মাতাদের সঙ্গে বিশ্লেষণকারীদের ব্যক্তিগত শত্রুতা কাজ করে। তার জেরে ইচ্ছাকৃত ভাবে নেতিবাচক ‘রিভিউ’ দেওয়া হয়। ফলে কোনও সদ্যমুক্তিপ্রাপ্ত ছবি সম্পর্কে জনতার রায় তৈরির আগেই তাঁদের মধ্যে নেতিবাচক মনোভাব তৈরি করে দেওয়া হয়। ইউটিউব চ্যানেলের কর্মীদের ছবিমুক্তির প্রথম তিন দিনের মধ্যে প্রেক্ষাগৃহে প্রবেশ নিষিদ্ধ করার আবেদনও জানিয়েছে টিএফএপিএ। এ বিষয়ে শহরের পুলিশ কমিশনারকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হোক, আর্জি তাদের।
‘রিভিউ’ নিষিদ্ধ করার বিষয়ে সহমত হয়নি আদালত। মাদ্রাজ হাই কোর্টের বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, যে কেউ যে কোনও ছবির ‘রিভিউ’ দিতে পারেন। এটা তাঁদের মতামত। মত প্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করতে পারে না আদালত।
এই মামলায় তামিলনাড়ু সরকার, কেন্দ্রীয় সরকার এবং ইউটিউবের কাছে নোটিস পাঠিয়েছে আদালত। তাদের বক্তব্য জানতে চাওয়া হয়েছে। আগামী চার সপ্তাহ পরে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।