ছবি: সংগৃহীত।
মাদ্রাজ হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে মেঘালয়ে বদলির সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি তুলল মাদ্রাজ বার অ্যাসোসিসেশন। আজ মাদ্রাজ বার অ্যাসোসিয়েশন এই বিষয়ে প্রস্তাব পাশ করেছে। বিচারপতি বন্দ্যোপাধ্যায়কে বদলির সিদ্ধান্তে ‘অস্বচ্ছতা’ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তারা।
দু’দিন আগেই মাদ্রাজ হাই কোর্টের দু’শোরও বেশি আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ও কলেজিয়ামের সদস্যদের চিঠি লিখে প্রশ্ন তুলেছিলেন, কেন বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে মাদ্রাজ থেকে মেঘালয়ে বদলি করা হচ্ছে। সবেমাত্র জানুয়ারি মাসেই কলকাতা হাই কোর্ট থেকে মাদ্রাজ হাই কোর্টে গিয়ে প্রধান বিচারপতি হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়। কলেজিয়াম কেন আচমকা সেপ্টেম্বর মাসে তাঁকে বদলির সিদ্ধান্ত নিয়ে নভেম্বর মাসে সেই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করল, সেই প্রশ্ন তুলেছিলেন আইনজীবীরা। আজ আইনজীবীদের বার অ্যাসোসিয়েশন একেবারে আনুষ্ঠানিক ভাবেই এ বিষয়ে প্রস্তাব পাশ করেছে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, এই সিদ্ধান্ত বদলির রীতিনীতি, প্রক্রিয়াকে লঙ্ঘন করেছে বলে মনে হচ্ছে। এই ধরনের বদলিকে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হয়। বিচার বিভাগের স্বাধীনতার পক্ষে তা মোটেই ভাল নয়।
সুপ্রিম কোর্টের প্রবীণতম বিচারপতিদের কলেজিয়াম প্রধান বিচারপতি বন্দ্যোপাধ্যায়কে মাদ্রাজ থেকে বদলির সঙ্গে আর এক বিচারপতি টি এস শিবাগ্ননমকেও মাদ্রাজ থেকে কলকাতায় বদলির সুপারিশ করেছে। বার অ্যাসোয়িয়েশনের আর্জি, কলেজিয়াম তার সুপারিশ পুনর্বিবেচনা করুক। কেন্দ্রও এই সুপারিশ পুনর্বিবেচনার জন্য কলেজিয়ামকে ফেরত পাঠাক।
বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় মাদ্রাজ হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব নিয়ে একাধিক মামলায় কেন্দ্রীয় সরকারকে তোপ দেগেছিলেন। কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্য নির্বাচন কমিশনকেই দায়ী করে তিনি বলেছিলেন, কমিশনের কর্তাদের বিরুদ্ধে বোধ হয় খুনের মামলা দায়ের করা উচিত। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি বিধিতে সংবাদমাধ্যমের পোর্টালে নজরদারির চেষ্টার অভিযোগ ওঠায় তিনি বলেছিলেন, এতে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হবে। পুদুচেরির বিজেপি ভোটারদের আধার তথ্যের অপব্যবহার করেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। দেশের চতুর্থ বৃহত্তম হাই কোর্ট থেকে তাঁকে মেঘালয় হাই কোর্টে বদলির পরে স্বাভাবিক ভাবেই এর আসল কারণ নিয়ে আইনজীবী মহলে প্রশ্ন উঠেছে।