—প্রতীকী ছবি।
ধর্ষণের মামলায় কেবল অভিযুক্তই নন, দোষী সাব্যস্তও হয়েছিলেন মধ্যপ্রদেশের এক যুবক। সাত বছর কারাবাসের পর প্রায় বছর দেড়েক আগে জেলমুক্ত হন তিনি। জেল থেকে বেরিয়েই আবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠল সেই যুবকের বিরুদ্ধে। আরও এক বার গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত ওই যুবক রাকেশ বর্মাকে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাকেশের বাড়ি মধ্যপ্রদেশের সাতনা জেলার কৃষ্ণনগর এলাকায়। সেই এলাকায় এক নাবালিকাকে ক’দিন ধরেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ ওই নাবালিকাকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করে। আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়েন রাকেশও। নাবালিকাকে রেওয়ার একটি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, ওই নাবালিকাকে কোনও কিছুর প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন রাকেশ।
এই প্রসঙ্গে মধ্যপ্রদেশ পুলিশের এক শীর্ষকর্তা মহেন্দ্র সিংহ চৌহান জানান, এই বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত চলছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রয়োজনে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চরম পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রেই জানা গিয়েছে, সাড়ে চার বছর বয়সের এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ ১২ বছর আগে গ্রেফতার করা হয়েছিল রাকেশকে। তদন্তে দোষ প্রমাণিত হলে আদালত রাকেশকে দশ বছরের কারাবাসের সাজা শোনায়। কিন্তু জেলে ভাল ব্যবহারের জন্য মাত্র সাত বছর জেলে থাকার পরেই রাকেশকে ছেড়ে দেওয়া হয়। জেলমুক্তির মাত্র দেড় বছরের মধ্যেই একই অপরাধে আবার গ্রেফতার করা হল রাকেশ নামের ওই যুবককে।